‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহাবুদ্দিন’

বিডিনিউজ২৪
Published : 20 June 2012, 05:24 AM
Updated : 20 June 2012, 05:24 AM

ঢাকা, জুন ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জ্যেষ্ঠ নেতা মাখদুম শাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

পাকিস্তানের জিও নিউজের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইউসুফ রাজা গিলানিকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সভাপতিত্বে পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোট হতে পারে। ওইদিনই পার্লামেন্টের নেতা নির্বাচন করা হবে। এই ব্যাপারে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায়ের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।

তবে পিপিপি কিংবা প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদ ও ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেতাদের অংশগ্রহণে দু'টি পৃথক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

দুটি বৈঠকই প্রধানমন্ত্রী পদে মাখদুম শাহাবুদ্দিনের মনোনয়নের ব্যাপারে জারদারির অনুমোদন নেওয়া হয়। পিপিপি'র পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকের পর বুধবার দুপুরের পর এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার রাতে পিপিপি ও তার মিত্রদের বৈঠকে নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে মাখদুম শাহাবুদ্দিনের ব্যাপারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিলানির আপত্তি জানিয়েছিলেন। গিলানি ও শাহাবুদ্দিন উভয়েই পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চলের হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিবেচনায় গিলানি আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা প্রেসিডেন্ট জারদারিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের দৈনিক দ্য নিউজ জানিয়েছে, আদালতের রায়ের পর পিপিপি নির্বাহি কমিটি বৈঠক করেছে। মাখদুম শাহাবুদ্দিন এবং চৌধুরি আহমেদ মুক্তারকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করার কথা ভাবা হচ্ছে।

মাখদুম শাহাবুদ্দিন ন্যাশনাল এসেম্বলি (এমএনএ) সদস্য এবং কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী। আর চৌধুরি আহমেদ মুক্তার পানি ও বিদ্যুত মন্ত্রী। শেষমেষ শাখদুম শাহাবুদ্দিনই মনোনয়ন পেলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে দু'মাস আগে দোষী সাব্যস্ত করার পর মঙ্গলবার নতুন করে তার বিরুদ্ধে রায় দিল।

এ রায়ে গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে এমনকি পার্লামেন্টে সদস্য হিসাবেও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আদালতকক্ষে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরি বলেন, আদালত অবমাননা মামলার (২৬ এপ্রিল) রায়ের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আপিল নথিভুক্ত হয়নি… সুতরাং সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি মজলিস ই-শূরার (পার্লামেন্ট) সদস্য থাকার যোগ্য নন।

ইফতিখার আরো বলেন, তিনি আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। এ পদ এখন শূন্য।

পাকিস্তানের ইতিহাসে গিলানিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দুর্নীতি মামলা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সুইস কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাতে রাজি না হওয়ার অপরাধে গত ২৬ এপ্রিল গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে আসিফ আলি জারদারির আইনি ছাড় আছে দাবি করে ওই মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে চাননি গিলানি।

পরে আদালতের রায়ে গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে প্রতীকী সাজা দেওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিআর/১০১০ ঘ.