হুমায়ূনের অবস্থার উন্নতি

বিডিনিউজ২৪
Published : 2 July 2012, 03:57 AM
Updated : 2 July 2012, 03:57 AM

লাবলু আনসার
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

নিউ ইয়র্ক, জুলাই ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের বেলভ্যু হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে।

শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর শুক্রবার থেকে তিনি এই হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় হাসপাতালে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন বিডিনিউজকে বলেন, "আগের দিনের তুলনায় তার অবস্থা অনেকটাই ভালো মনে হয়েছে। আমাকে দেখে চোখের ইশারায় তিনি বসতে বলছিলেন।"

গতরাতে (শনিবার) লেখক ভালোভাবে ঘুমাতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন এই লেখককে এরই মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

এদিকে ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্রে জননন্দিত এই লেখকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। লেখককে নিয়ে মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ঘনিষ্টরা।

অসুস্থ হুমায়ূনের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন অন্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম ও লেখকের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাজহারুল ইসলাম অনুরোধ করে বলেন, "লেখকের প্রকৃত অবস্থা জানতে সংশ্লিষ্টরা যেন আমাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করে। লেখকের অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো।"

ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন নিউ ইয়র্কে আসেন। স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ সন্তানদের নিয়ে কুইন্সে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছেন তিনি। অস্ত্রোপচারের আগে পরিবার-আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে মে মাসে দুই সপ্তাহের জন্য দেশে আসেন হুমায়ূন।

অস্ত্রোপচারের আগে ম্যানহাটানের বিশ্ববিখ্যাত স্নোয়ান মেমোরিয়্যাল ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয় তাকে।

গত ১২ জুন বৃহদান্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর ১৯ জুন বাসায় ফেরেন হুমায়ূন। তবে বাসায় ফেরার একদিনের মাথায় পেটে ব্যাথা নিয়ে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয় বেলভ্যু হাসপাতালে।

১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি শুরু করে সাহিত্য সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তারপর ধীরে ধীরে দেশের জনপ্রিয়তম কথাসাহিত্যিকে পরিণত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের এই শিক্ষক। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।

টিভিতে নাটক লিখে ও নিদের্শনা দেওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন। এ জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএল/২১৫৮ ঘ.