ঢাকা, জুলাই ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের অবস্থান দাতা গোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সোমবার বিকালে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের এই বৈঠকে ১৮টি দাতা দেশ ও সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিশ্ব ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
বৈঠক শুরু হলেও তাতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি উপস্থিত না দেখতে পেয়ে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ধরনের বৈঠকে সাধারণত বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অংশ নেন। অ্যালেন গোল্ডস্টেইন মানে বর্তমান আবাসিক প্রতিনিধি দেশে না থাকায় বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিত্ব নেই।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বাতিলের পর দাতা গোষ্ঠীর স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই জরুরি বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী।
তবে এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অনুরোধ জানানো হবে না; যদিও অর্থমন্ত্রী এই জন্য সংস্থাটির সঙ্গে দেন-দরবারের কথা বলে আসছিলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেও মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দাতা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ করা উচিত।
তিনি বলেন, সংসদে তিনি যা বলেছেন, তাই দাতা সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে।
গত ২ জুলাই সংসদে বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। যে কোনো সময় সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও বলেছিলেন তিনি।
তবে দাতা সংস্থার অর্থায়ন বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সংসদে বক্তব্যে বিশ্ব ব্যাংকের কড়া সমালোচনার পর নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা ঘোষণা করেন।
দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে দাবি করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি গত ২৯ জুন বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প থেকে এরপর এডিবিও সরে দাঁড়ায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/এসএসজেড/এমআই/১৭০০ ঘ.