চন্দ্রবিজয়ী প্রথম মানব আর্মস্ট্রংয়ের জীবনাবসান

বিডিনিউজ২৪
Published : 26 August 2012, 06:16 AM
Updated : 26 August 2012, 06:16 AM

ঢাকা, অগাস্ট ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যার একটি 'ক্ষুদ্র' পদক্ষেপ মানবজাতিকে পৌঁছে দিয়েছিল চাঁদের উচ্চতায়, সেই মার্কিন নভোচারী নেইল আর্মস্ট্রং আর নেই।

গত ৫ অগাস্ট ৮২তম জন্মদিন পালন করার ঠিক দুই দিনের মাথায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আর্মস্টং।শনিবার তার পরিবারের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের সেই ধকল আর তিনি সামলে উঠতে পারেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার অ্যাপোলো ১১ মিশনের অধিনায়ক হিসাবে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের বুকে প্রথম মানুষের পদচিহ্ন এঁকে দেন আর্মস্ট্রং। সঙ্গী এডইউন অলড্রিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা তিনি চাঁদে বিচরণ করেন।

চাঁদে পা রাখার মুহূর্তকে তিনি বর্ণনা করেছেন মানুষের জন্য 'একটি ছোট পদক্ষেপ' কিন্তু মানবজাতির একটি 'বিশাল অগ্রগতি' হিসেবে।

ওই অভিযানে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ বনে যাওয়া নেইল আলডেন আর্মস্ট্রং ওহাইওতে ১৯৩০ সালের ৫ অগাস্ট জন্ম নেন।

বাবার সঙ্গে ছয় বছর বয়সে বিমানে ওড়া আর্মস্ট্রং ১৬ বছর বয়সেই তা চালানো শিখে ফেলেন। গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার আগেই রপ্ত হয়ে যায় 'ওড়ার' কায়দা।

১৯৫০ এর দশকের শুরুতে কোরীয় যুদ্ধের সময় নৌবাহিনীর ফাইটার জেট চালিয়েছেন তিনি। ১৯৫২ সালে সামরিক বাহিনী ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ায় মন দেন এবং ১৯৬২ সালে যোগ দেন মার্কিন মহাশূন্য কর্মসূচিতে।

আর্মস্টংয়ের মহাকাশ অভিযানের শুরু ৩৫ বছর বয়সে। ১৯৬৬ সালের ১৬ মার্চ মহাশূন্যযান জেমিনি-৮ এ সেই অভিযানে তার সঙ্গী ছিলেন ডেভিড স্কট।

চন্দ্র অভিযানের পর বলতে গেলে নিভৃত জীবন কাটিয়েছেন তিনি। জনসম্মুখে এসেছেন কদাচিৎ।

অ্যাপোলো ১১ মিশনের পরের বছরই নাসা ছেড়ে দিয়ে সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশলের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন অর্মস্ট্রং।স্ত্রী ক্যারলের সঙ্গে সিনসিনাটিতেই বসবাস করতেন তিনি।

গত নভেম্বরে আরো তিনজন নভোচারীর সঙ্গে আর্মস্ট্রংকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

এক সাক্ষাৎকারে নেইল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, "আমার বিশ্বাস, প্রত্যেক মানুষের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক হৃদস্পন্দন বরাদ্দ থাকে। আমি এর একটিও নষ্ট করতে চাই না।"

চন্দ্রবিজয়কে বলা হয় বিশ শতকে মানবজাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। আর যার পায়ে ভর করে সে বিজয় এসেছিল. সেই আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর পরিচয় ঘটবে পাঠ্যবইয়ের পাতায়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউ/জেকে/০২৪১ ঘ.