আসামি ৭, হাসান-হোসেন বাদ

বিডিনিউজ২৪
Published : 17 Dec 2012, 10:45 AM
Updated : 17 Dec 2012, 10:45 AM

টানাপড়েনের পর পদ্মাসেতু প্রকল্পে পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), যাতে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন বা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে আসামি করা হয়নি।

দুদকের উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ সোমবার রাজধানীর বনানী থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, তাতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে, বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত অনুসারে যাকে আগেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

বাকি ছয় আসামি হলেন- সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশে কানাডীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এই সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস।

বনানী থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এজাহারে বলা হয়, এই আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পারস্পরিক যোগসাজশে বিধি ভেঙে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের তদারকি পরামর্শকের কাজ অন্যতম দরদাতা এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালকে পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা দণ্ডবিধির ১৬১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নতি প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।"

এসএনসি লাভালিন ওই কার্যাদেশ পেলে ঘুষ লেনদেন সম্পন্ন হতো বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রসঙ্গে এজাহারে বলা হয়েছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে তাদের ভূমিকার বিষয়ে অনুসন্ধানে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি দুদক।মামলার তদন্তের সময় তাদের বিষয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।