ওসামা হত্যায় পাকিস্তান ছিলো না: জারদারি

বিডিনিউজ২৪
Published : 3 May 2011, 11:28 AM
Updated : 3 May 2011, 11:28 AM

অ্যাবোটাবাদ, মে ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- ওসামা বিন লাদেন হত্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর কোনো অংশগ্রহণ ছিলো না বলে জানালেন আসিফ আলি খান জারদারি। আল কায়দা নেতার অবস্থানের কথাও অজানা ছিলো বলে জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেছেন, আল কায়েদা প্রধান ওসামা হত্যার মিশনে পাকিস্তানের কোনো অংশগ্রহণ ছিলো না।

রোববার রাতে ইসলামাবাদের কাছের অ্যাবোটাবাদ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সৈন্যদলের অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন। এরপর এ বিষয়ে মঙ্গলবারই প্রথম মুখ খুললেন জারদারি।

ওয়াশিংটন পোস্টে মঙ্গলবার প্রকাশিত (যুক্তরাষ্ট্রের সময় সোমবার) এক মতামত কলামে জারদারি বলেন, অভিযানটি যৌথ ছিলো না।

ইসলামাবাদ থেকে দু'ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাবোটাবাদে যে বিন লাদেন অবস্থান করছেন, তা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানতো না বলেই জারদারি জানান।

"ওসামাকে পাওয়া যেতে পারে বলে আমরা সম্ভাব্য যে সব জায়গার কথা ভেবেছিলাম, সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি, কিন্তু তিনি এখন চিরবিদায় নিয়েছেন", বলেন তিনি।

তবে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট বলেন, "জঙ্গিদের মোকাবেলায় পাকিস্তান ব্যর্থ হচ্ছে- এটা বলা যাবে না।" জঙ্গিদের ধরতে পাকিস্তান অনিচ্ছুক বা তৎপর নয়- এমন অভিযোগও উড়িয়ে দেন তিনি।

জারদারি লিখেছেন, "যদিও রোববারের ওই অভিযানে যৌথ অংশগ্রহণ ছিলো না, কিন্তু গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের পারস্পরিক সহযোগিতা সভ্যতার প্রতি ধারাবাহিক হুমকি সৃষ্টিকারী ওসামা বিন লাদেনকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।"

কিন্তু আল কায়েদা প্রধান কীভাবে ইসলামাবাদের এত কাছে বসবাস করছিলেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি, যা নিয়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করছেন বিশ্লেষকরা।

ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক বছর ধরে বিন লাদেন অ্যাবোটাবাদে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছেই একটি সুপরিসর ভবনে বসবাস করছিলেন।

মিলিটারি একাডেমির নাকের ডগায় বিন লাদেনের অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিনের মিত্র পারমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

বিন লাদেনকে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে আল কায়দা নেতা জনবহুল একটি এলাকায় আস্তানা গেঁড়েছিলেন।

কোনো কোনো আইন প্রণেতা পাকিস্তানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকশ' কোটি ডলার সহায়তা পুনর্বিবেচনা হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন।

তবে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূত হাক্কানি বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার এ ব্যর্থতা খতিয়ে দেখা হবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/সিআর/১৩০০ ঘ.