লিমনের বক্তব্য নিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

বিডিনিউজ২৪
Published : 24 May 2011, 04:13 PM
Updated : 24 May 2011, 04:13 PM

ঢাকা, মে ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন ও তার বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের বক্তব্য নিয়েছে ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি।

মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাদের বক্তব্য শোনেন তদন্ত কর্মকর্তা বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আকবর।

বেলা ১১টা থেকে বক্তব্য নেওয়া শুরু হয়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক গাজী মো. এনামূল হক উপস্থিত ছিলেন।

পরে শওকত আকবর সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত দিন থাকলেও আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।

তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সব জানানো হবে।"

গত ২৯ এপ্রিল ১৫ কার্য দিবস সময় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কমিটি গঠন করা হয়। সেই হিসাবে সোমবার ছিলো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। অধিকতর তদন্তের জন্য আরো সাত দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।

'গরু আনতে গেলে গুলি করে র‌্যাব'

তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়ে লিমন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন তিনি গরু আনতে পুরাতন জমাদ্দারহাটের সেতুর কাছে গেলে সেখানে এক র‌্যাব সদস্য তার পায়ে গুলি করেন।

তিনি বলেন, "ওই র‌্যাব সদস্যের নেমট্যাগে 'লুৎফর' নামটি লেখা ছিলো।"

তদন্ত কমিটির কাছে ন্যায় বিচার চেয়ে লিমনের বাবা বলেন, কোনো সন্ত্রাসীকে তিনি চেনেন না বা এ ধরনের কারো সঙ্গে তার আত্মীয়তা নেই।

সোমবার র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে লিমনের মা-বাবা-ভাই-বোন প্রত্যেকের সঙ্গে সন্ত্রাসী মোর্শেদ জমাদ্দারের সম্পর্ক রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "সন্ত্রাসী মোর্শেদ জমাদ্দারের সঙ্গে লিমন ও তার বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।"

এর পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, লিমন বিষয়ে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য সরকারেরই বক্তব্য।

মোর্শেদ জমাদ্দারের সঙ্গে 'সম্পর্ক' বিষয়ে তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, "সন্ত্রাসী হিসেবে তার নাম শুনেছি। তবে কখনো তাকে দেখিনি।"

ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার জমাদ্দারহাটে গত ২৩ মার্চ লিমন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার দাবি, র‌্যাব পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছিলো।

ওই ঘটনায় লিমনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে র‌্যাব। অন্যদিকে তার মা হেনুয়ারা বেগম গত ১০ এপ্রিল র‌্যাবের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএইচএ/এএল/পিডি/১৮৫৪ ঘ.