লাউয়াছড়ায় মুক্তি পেলো ৪৭ টি প্রাণী

বিডিনিউজ২৪
Published : 31 May 2011, 04:57 PM
Updated : 31 May 2011, 04:57 PM

মৌলভীবাজার, মে ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪৭টি মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ১১টি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে ৪৭টি প্রাণীকে লাউয়াছড়া উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শ্রীমঙ্গলে জালালিয়া রোডের একটি বাড়ি থেকে গত শনিবার এই প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।

মৌলভীবাজার বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের রেঞ্জার একেএম আজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ১১টি প্রাণী নিয়ে বিকাল ৪টার দিকে ডুলাহাজারার পথে রওনা হন। এই প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ময়ুর, তিনটি মায়া হরিণ, দুটি বনছাগল, তিনটি ইমু ও দুটি উট পাখি।

আজহারুল ইসলাম জানান, বিকালে তাঁর নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মচারীরা বিভিন্ন প্রজাতির ৪৭টি বন্যপ্রাণী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেন। এর মধ্যে ছিল একটি অজগর, তিনটি বানর, ৮টি কালেম, দুটি সিলভার প্রিজন, দুটি দুধরাজ সাপ, পাঁচটি তোতা, নয়টি ঘুঘু, তিনটি পেঁচা, একটি বাজরিয়ান, নয়টি টিয়া, দুটি বসন্ত কোড়ল ও দুটি সুতানালী সাপ।

গত শনিবার র‌্যাব ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা আব্দুল কাদেরের বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তার ছেলে হান্নান ও আহাদের 'মিনি চিড়িয়াখানা' থেকে ৩৪ প্রজাতির ৭৩টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেন। এদিনই বিকালে ১৫টি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ছিল একটি সোনালী বাঘ, তিনটি লজ্জাবতী বানর, দুটি উল্লুক, একটি হনুমান, দুটি ধনেষ পাখি, একটি ইগল, একটি পেঁচা ও চারটি বনমোরগ।

দুর্বল ও অসুস্থতার কারণে বাকি ৫৮টি বন্যপ্রাণীকে হান্নান ও আহাদের জিম্মায় রাখা হয়।

র‌্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কর্মকর্তা এএসপি মো. মনজুর আহমেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই প্রাণীগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/কেএমএস/২১২০ ঘ.