অর্থপাচার মামলায় তারেক অভিযুক্ত

বিডিনিউজ২৪
Published : 8 August 2011, 07:27 AM
Updated : 8 August 2011, 07:27 AM

ঢাকা, অগাস্ট ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অর্থপাচারের জন্য আরাফাত রহমান কোকোর সাজা হওয়ার পর তার বড় ভাই তারেক রহমানও একই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, এখন শুরু হবে বিচার।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ মোজাম্মেল হোসেনের আদালতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

একই মামলার আসামি তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন হয়েছে। আদালতে গিয়াস নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

চার বার শুনানি পেছানোর পর সোমবার এ মামলায় তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলো। আদালত আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছে।

অর্থপাচারের অন্য একটি মামলায় গত ২৩ জুন ঢাকার আদালতে খালেদার ছোট ছেলে কোকোর ৬ বছর কারাদণ্ড ও ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। কোকোর অনুপস্থিতিতেই ওই মামলার বিচার হয়।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা হয়। সোমবার তারেককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিলো। তবে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক হাজির হননি। তারেককে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠনের পর তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।

আদালতে তারেকের আইনজীবী সাবেক স্পিকার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ফখরুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করেন।

এ মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদেশ বাতিলে রিভিউ আবেদনের কথা জানিয়ে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ গঠন মুলতবি রাখার আবেদন করেন তারা।

তবে এ আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উচ্চ আদালত অভিযোগ গঠন না করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি, ফলে অভিযোগ গঠন না করার বিষয়ে কোনো যুক্তি নেই।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক ও তার বন্ধু মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। গত বছরের ৬ জুলাই অভিযোগপত্র দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করে 'নির্মাণ কনস্ট্রাকশন' কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারেক ও মামুন ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা টাকা নিয়ে তা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন।
গত ৫ মে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ১৯ মে আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে বর্তমান আদালতে মামলার কাগজপত্র পাঠিয়ে দেন।