ঢাকা, অগাস্ট ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বেহাল মহাসড়কে দুর্ভোগের জন্য জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তবে পদত্যাগের দাবি নাকচ করেছেন তিনি।
সৈয়দ আবুল হোসেন শনিবার গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক মেরামতের কাজ সরেজমিন দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রীর ধমক শুনে তিন দিন আগে প্রথম ওই সড়ক দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেদিন গাড়ি থেকে নামেননি তিনি।
শনিবার গাড়ি থেকে নেমেই সড়কের সার্বিক অবস্থা দেখেন মন্ত্রী। বেহাল সড়কের জন্য নিজের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলতার কিছুটা অভাব ছিলো বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন তিনি। তবে মূল দায় আবারও তিনি দেন অর্থ মন্ত্রণালয়কে, বলেন পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ার কথা।
বেহাল মহাসড়কের দায় নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে সংসদের ভেতরে-বাইরে দাবি উঠেছে। পদত্যাগ করবেন কি না- জানতে চাইলে উল্টো সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবুল হোসেন।
যোগাযোগমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে দায়ী করলেও তা নাকচ করে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন কি না- জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যান আবুল হোসেন।
জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছেন কি না, প্রশ্ন করা হলে তিনি 'স্যরি' বলেন।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। যার ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাস মালিকরা।
সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের মধ্যে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সড়ক বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খানকে তিরস্কার করেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সংসদেও মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। সমালোচনা করেন সরকারদলীয় অন্য সংসদ সদস্যরাও।
দলে ও দলের বাইরে পদত্যাগের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার সবার সহানুভূতি চান আবুল হোসেন। বৃহস্পতিবার রেলভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "আল্লাহ যেন সহায় করেন, সমালোচনার মাধ্যমে উপকার হয়। সকলে আমার প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন এটাই আমি আশা করি।"
ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ১৫ বছরে এবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, তাই সড়কগুলো নাজুক হয়ে পড়ছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে তার এ বক্তব্যের যথার্থতা পাওয়া যায়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরআর/এমআই/১১১১ ঘ.