‘চিনি কারসাজিতে চার প্রতিষ্ঠান জড়িত’

বিডিনিউজ২৪
Published : 23 August 2011, 02:25 PM
Updated : 23 August 2011, 02:25 PM

ঢাকা, অগাস্ট ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রোজার আগে বাজারে চিনির সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় কারসাজির অভিযোগ এনে আমদানি ও পরিশোধনকারী বৃহৎ চার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, "দেশবন্ধু, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপ- এ চার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চিনি সংকট ও চিনির মূল্য বৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িত।"

এ ধরনের কারসাজি ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়কে আগের মতো চিনি আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তোফায়েল বলেন, "আমরা কমিটির বৈঠকে সরকারিভাবে আবারো চিনি পরিশোধন ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছি।"

"আগের মতো এখন থেকে মন্ত্রণালয় চিনি আমাদনি করবে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন," যোগ করেন তোফায়েল।

সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী জানান, চিনি আমদানি ও পরিশোধনের কাজ আগে সরকারিভাবে করা হলেও বিগত চারদলীয় জোট সরকার তা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়।

তিনি বলেন, "এর ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চিনি নিয়ে কারসাজির সুযোগ পাচ্ছে। এই সুযোগ যাতে আর না পায় সেজন্য কমিটি এই সুপারিশ করেছে।"

রোজা শুরুর আগে গত ২০ জুলাই প্রতি কেজি চিনির সর্বোচ্চ দাম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপর হঠাৎ করেই ঢাকাসহ মহানগরগুলোর বাজার থেকে চিনি 'উধাও' হয়ে যায়। কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হয় অনেক বেশি দামে।

চিনি মজুদ ও তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা জানতে টিসিবি চেয়ারম্যান, প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলবও করেছিলো হাইকোর্ট।

আরো সুপারিশ

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল কর্পোরেশন বর্তমানে লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। বিগত অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠান ৭৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। এর মধ্যে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লাভ করেছে ৩২ কোটি টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে চীনের সহায়তায় নির্মিতব্য শাহজালাল সার কারখান নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এই কারখানায় উৎপাদিত সারের দাম কৃষকের নাগালের মধ্যে রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/আরএ/জেকে/১৮০৫ ঘ.