সীমান্তে পাথর ছুড়ে বাংলাদেশি হত্যা

বিডিনিউজ২৪
Published : 25 August 2011, 07:09 AM
Updated : 25 August 2011, 07:09 AM

ঠাকুরগাঁও, আগস্ট ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে পাথর ছুড়ে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা এ জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের দায়ী করলেও বিজিবি তা নিশ্চিত করেনি।

হরিপুর উপজেলার ডাবরী সীমান্তে নাগর নদী থেকে বুধবার বিকালে বাবুল হোসেন (২৮) নামে ওই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির মলানী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিরাজউদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, ডাবরী সীমান্তের ৩৭০/৩ এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাবুলের লাশ নাগর নদীতে ভেসে আসে। এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা লাশ নিয়ে আসে।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে হরিপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক জনের সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলো বাবুল। এক পর্যায়ে তারা নদীর ভারতীয় অংশে চলে গেলে ওপার থেকে ফুলবাড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে বাবুলের মাথা ফেটে যায় এবং সে নদীতে ডুবে যায়।

বাবুল হোসেনের বাবা হরিপুরের গেড়–য়াডাঙ্গী গ্রামের শুকুরউদ্দিন বলেন, "বিএসএফ পাথর ছুড়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।"

বাবুলের সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়া আলী ও রবিউল আলমও একই কথা বলেন। তারা পালিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে বিজিবির ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিএসএফ বাবুলকে হত্যা করেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।"

ওসি জানান, ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাবুলের বাবা হরিপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ তা অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।

বৃহস্পতিবার বাবুললের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের বারবার আশ্বাস এবং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের ১০ দিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ের এ ঘটনা ঘটলো। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এ সফরেই সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারত জানিয়েছে, সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিএসএফকে এমন অস্ত্র দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ মারা যাবে না। সীমান্তে হত্যা অনেক কমেছে বলেও স¤প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমআই/১১৫০ ঘ.