ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর সামনে রেখে এই ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে কথা হয় পরশির সঙ্গে ভবিষ্যমুখী সম্পর্ক, বাণিজ্য ও এতে বাধাসহ নানা বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কথা উঠলে কোন বিষয়গুলো আপনার মনে পড়ে?
উত্তর: আমার প্রথমেই মনে পড়ে বাংলাদেশের পণ্য ভারতে প্রবেশের কথা। দু'দেশের মধ্যে প্রচুর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এটা আমরা কমাতে পারছি না। ভারত যদি সেদেশের বাজারে আমাদের পণ্য প্রবেশে পুরো স্বাধীনতা (ফ্রিডম) দেয় তাহলে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমে আসবে। এর ফলে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় হবে।
আমরা আশা করছি মনমনোহন সিংয়ের সফরের সময় বাংলাদেশের আরো ৬১টি পণ্য ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় প্রবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এরপরই চলে আসে ভিসার বিষয়টা। দু'দেশের ভিসা এখনও ফ্রি না। অনেক নামকরা মানুষও ভিসা চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। ২ বছর ৫ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া যায়, অথচ এখানে পাওয়া যায় না। ভিসার ব্যাপারে অবন্ধুত্বসুলভ আচরণ করা হয়। এ জটিলতার সমাধান দ্রুত করতে হবে।
এ ছাড়া আরো একটি বিষয় আমাকে খুব পীড়া দেয়। সেটি হলো- ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু বিনিয়োগের জন্য তারা বাংলাদেশে আসছেন না। এখানে অবকাঠামো খাত, বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন: দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ কেমন রয়েছে?
উত্তর: দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে বাধা রয়েছে। আমরা ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো দেখছি, অথচ সেখানে (ভারতে) বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখানো হচ্ছে না। কলকাতা, আগরতলাতে বাংলাদেশের কোনো টিভি দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়টা ঠিক করতে হবে।
আবার দেখুন আমরা টিভি, সিডিতে ভারতীয় সিনেমা দেখছি। অথচ সিনেমা হলগুলোতে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। দু'দেশের সিনামাই যেন দুদেশের হলগুলোতে চলতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিৎ।
প্রশ্ন: মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় কোন সমস্যাগুলো প্রাধান্য দিয়ে সমাধান করা উচিৎ?
উত্তর: ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পুরোপুরি শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া, নদীর পানিবণ্টন জটিলতা নিরসন করা এবং ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট গতিশীল করা।