৬ মাসে তিস্তাচুক্তির দাবি মহাজোট শরিকদের

বিডিনিউজ২৪
Published : 7 Sept 2011, 08:13 PM
Updated : 7 Sept 2011, 08:13 PM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে করার দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বুধবার সোনারগাঁও হোটেলে এক সাক্ষাতে এ দাবি জানান মহাজোটের শরিক দলের কয়েকজন নেতা।

দুদিনের সফর শেষে বুধবার বিকেলে ঢাকা ছেড়েছেন মনমোহন।

তার এ সফরে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে এর বিরোধিতা করায় চুক্তিটি হয়নি। একইসঙ্গে স্বাক্ষর হওয়ার কথা ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তিও।

বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অংশে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধার্থে দুদেশের মধ্যে ট্রানজিট বিষয়ক সম্মতিপত্র বিনিময়ও হয়নি এ সফরে।

মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, "তিস্তা চুক্তি যতো দ্রুত সম্ভব করার এবং আরো ৫২টি অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা শুরুর কথা বলেছি।"

সীমান্ত সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ-ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে দুদেশের মধ্যে।

মহাজোটের আরেক শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন বলেন, "তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছি আমরা।"

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া বলেছেন, সব সমস্যা ক্রমান্বয়ে সমাধান হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দুদেশের ছিটমহল বিনিময় করা উচিত।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, "আলোচনা হলে ভালো হতো।"

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেনি ক্ষমতাসীন দল। মন্ত্রিপরিষদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

মনমোহনের সফরে ঢাকা-দিল্লি একটি চুক্তি, একটি প্রটোকল এবং আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/পিডি/২৩২৪ ঘ.