ঢাকা, সেপ্টেম্বর ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যোগাযোগ ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের পাশাপাশি সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের সব শহীদ মিনারের সামনে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে 'ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী-জনতা' নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুর পর 'ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী-জনতা' ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঈদের দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা পালন করে অবস্থান কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, "বঙ্গবন্ধু বলতেন, যাদের এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ, তারা আমাকে এলাকায় দাওয়াত দিয়ো। আমার যাওয়া উপলক্ষে সরকারি লোকজন রাস্তাঘাট ঠিক করে ফেলবে।"
"প্রধানমন্ত্রীও এটা করতে পারতেন। তিনি তা না করে আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে টিটকারি করছেন, ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এর মাধ্যমে কেউ কাউকে কোনোদিন দাবায়ে রাখতে পারে নাই।"
দুর্নীতিগ্রস্তমন্ত্রীদের রক্ষার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কথা শুনতে কামাল লোহানী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ সচেতন নয়। কিন্তু ঢাকার কোন ফুটপাথ দিয়ে আমরা নিরাপদে হাটতে পারি?"
১৩ সেপ্টেম্বরের বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে দেশবাসীকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম এই সংগঠক বলেন, অধিকার কেউ কাউকে দেয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রক্তব্য রাখেন, মিশুক মুনীরের ভাই আসিফ মুনীর, প্রকৌশলী মো. ইমামুল হক, রোকেয়া প্রাচী, প্রকৌশলী শেখ মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সৈয়দ আবুল মকসুদ ও 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলনের প্রধান চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন মুঠোফোনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
তাদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত, মন্ত্রীর সুপারিশে ২৪ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন, সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোঘে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ধারা ২৭৯ এবং ৩০৪বি আইনটি সংশোধন করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং জনগণের কাছে সব পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এএল/১৮১৫ ঘ.