ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় ত্রুটি ছিলো: কমিটি

বিডিনিউজ২৪
Published : 10 Sept 2011, 02:02 PM
Updated : 10 Sept 2011, 02:02 PM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- খিলগাঁও ফ্লাইওভারের একাংশ দেবে যাওয়াকে 'সামান্য ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করে কারিগরি তদন্ত কমিটি বলেছে, নির্মাণের সময় থেকেই এ ত্র"টি ছিলো।

কমিটির সদস্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর শনিবার নগর ভবনে কারিগরী কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, "আনুভূমিক ভিত্তি বিম, স্ল্যাব, ইলাস্টোমেরিক বিয়ারিং ও পায়ারে কোনো ত্র"টি পাওয়া যায়নি।"

ফ্লাইওভারের নকশায় ক্রটি ছিল কি না জানতে চাইলে কারিগরি কমিটির এ সদস্য বলেন, "নকশার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নির্মাণক্রটি এতই সামান্য যে তাকে ক্রটি বলা যায় না।"

ফ্লাইওভারটি দেশীয় প্রযুক্তি এবং নির্মাণ কৌশলে নির্মিত- এ কথা উল্লেখ করে ড. মুনাজ বলেন, "এ কারণে যথাযথভাবে নির্মিত না হতে পারে।"

"এ ঘটনা আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়," যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং নয় সদস্যর কারিগরি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশের একটি অংশ দেবে যাওয়ায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এর ওপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের মার্চে ফ্লাইওভারটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৪ মিটার প্রশস্ত এই উড়াল সেতু নির্মাণে সব মিলিয়ে ব্যয় হয় ৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

ফ্লইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলজিইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীদের নকশা ও তত্ত্বাবধানেই এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ভবিষ্যতে সতকর্তা অবলম্বনের জন্য বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. মুনাজ বলেন, "যে অংশটি দেবে গেছে তা যদি বাড়তে না থাকে তবে তা মেরামতের প্রয়োজন হবে না। বাড়তে থাকলে তা অবশ্যই মেরামত করতে হবে।"

"শুধু ভিজুয়াল ইন্সপেকশন করা হয়েছে। মূল সমস্যা জানতে হলে আরো ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে," উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, "সিটি কর্পোরেশন বললে অবশ্যই তা করা হবে।"

"তবে ফ্লাইওভারের ঘটনায় ডিসিসির কোনো গাফলতি দেখা যায়নি।"

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসির প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম আজাদ বলেন, "ফ্লাইওভারে আপাতত ভারি যানবাহন চলাচল করবে না।

কারিগরি কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ডিসিসি নির্বাহী প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হোসেন, ডিসিসি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হায়দার আলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক জ্যেষ্ঠ কারিগরি পরামর্শক এ এস এম আব্দুল হামিদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, এমআইএসটি জ্যেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর কর্নেল ডি এস এম শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএইচএ/পিডি/১৮২২ ঘ.