চট্টগ্রাম, সেপ্টেম্বর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- র্যাবের হাতে আটক পুলিশের তালিকাভুক্ত কথিত এক সন্ত্রাসী বলেছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কথা বললে দুই ধরনের বিপদ।
ফেনী থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রাউজানের বিধান বড়–য়া শনিবার দুপুরে নগরীর পতেঙ্গায় র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "অতীতে উনার (সাকা চৌধুরী) সাথে সম্পর্ক ছিল।"
এখন সম্পর্ক আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিধান বলেন, "নাই বললেও বিপদ, আবার আছে বললেও বিপদ। নাই বললে মরতে হবে। আছে বললে অবশ্য বাঁচতে পারব।"
সাকা চৌধুরীর এক সময়ের দল এনডিপি'র কর্মী বিধান পরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিষয়ে তিনি বলেন, "২০ বছর আগে রাজনীতি থেকে চলে গেলে মরে যেতাম, কিন্তু এখনো বেঁচে আছি।" তবে নির্দিষ্ট কোন দলের নাম বলেননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে কাতার থেকে বিধান দেশে ফেরেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফেনী সদর থানাধীন সিলোনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর বাড়ি থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ 'সন্ত্রাসী' বিধান বড়–য়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল। শুক্রবার বিধানের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি নাইন এম এম পিস্তলও উদ্ধার করে তারা।
শুক্রবার সারাদিন চট্টগ্রামের র্যাব কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে দেয়নি।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেন।
বিধানের বিরুদ্ধে সাতটি খুন, একটি অস্ত্র, দুটি সন্ত্রাস দমনসহ মোট ১৭টি মামলা মামলা রয়েছে।
ইউসুফ আলী নামে কাতারে ছিলেন বিধান
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব অধিনায়ক মোস্তফা কামাল বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী বিধান গত ছয় বছর কাতারে ছিলেন। ইউসুফ আলী নামে পাসপোর্ট তৈরি করে তিনি কাতার গিয়েছিলেন। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
প্রায় তিন বছর ধরে র্যাব-৭ বিধানের গতিবিধিতে নজর রাখছিল জানিয়ে র্যাব অধিনায়ক বলেন, তিন সপ্তাহ আগে তিনি কাতার থেকে ঢাকায় আসেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিধানের 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' ও রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে দাবি করে মোস্তফা কামাল বলেন, যেহেতু তিনি দেশে এসেছেন সেহেতু নিশ্চয় তার কোনো লক্ষ্য ছিল। এ বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
একাধিক হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিধান সাংবাদিকদের বলেন, এসব মামলা অনেক বছর আগের। কিছু মামলা শেষও হয়ে গেছে। আমি কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত নই। এসব অভিযোগ মিথ্যা।
"তখন বয়স অনেক কম ছিল। অনেক কিছু বুঝিনি। সবার সঙ্গে চলতাম। তাই আমার নামে অভিযোগ হয়েছে।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিএম/এমসি/জিএনএ/২৩২৮ ঘ.