জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত মুহিতের

বিডিনিউজ২৪
Published : 14 Sept 2011, 06:43 PM
Updated : 14 Sept 2011, 06:43 PM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দৃশ্যত আইএমএফ'র শর্ত মেনে ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড-আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, "আইএমএফ এর শর্ত পূরণ হলে তারা বর্ধিত ঋণ সুবিধা (এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফেসিলিটি-ইসিএফ) দেবে।"

চলতি বছরের মধ্যে এ সুবিধা পাওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে মুহিত কোনো মন্তব্য করেননি।

তিনি বলেন, "আইএমএফ এ সুবিধা দিতে বাজেট ঘাটতি জিডিপি'র ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা, ভর্তুকি কমানো, কর বৃদ্ধি, মুদ্রা বিনিময় হার শিথিল, ভ্যাট আইন তৈরি করে বাস্তবায়নসহ জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করাসহ অন্যান্য শর্ত দেয়।"

"ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দাম বাড়াতে হবে।"

ইসিএফ সুবিধা পেলে স্বল্প সুদে একশ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, "দাম বাড়ানো হলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

"জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না বরং কমতে পারে। এর জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে।"

সর্বশেষ গত মে মাসে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়। ওই দফায় প্রতি লিটার ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল, অকটেন ও ফার্নেস অয়েলের দাম ২ টাকা বাড়ানো হয়।

মূল্যস্ফীতি কমানো ও দাম বাড়ানোর জন্য ১০টি কৌশল নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মুহিত বলেন, "এর মধ্যে তিনটি কৌশল আইএমএফ গ্রহণ করেছে। তবে কী কৌশলে দাম বাড়ানো হবে তা আমার বিষয়।"

আইএমএফ'র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-প্রধান ডেভিড কোয়েনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার বিকালে দেখা করে।

সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, "সে সময় ইসিএফ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং এ সম্মেলনের পর ইসিএফ মিশন বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএইচএ/পিডি/১৯৩৬ ঘ.