ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে বাদ দেবেন তিনি।
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার প্রারম্ভিক বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনা এবং বেহাল মহাড়কের জন্য যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের অপসারণের দাবি উঠেছে। এছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন সরকারি দলের নেতারাও।
শেখ হাসিনা বলেন, "শহীদ মিনারে অনেকে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছে। তাদের বলবো, 'দুর্নীতি-দুর্নীতি' না করে তথ্য প্রমাণ দিন। কোথায়-কখন কে দুর্নীতি করেছে, তার প্রমাণ আমাকে দেখান। প্রমাণ পেলে তার মন্ত্রিত্ব থাকবে না।"
চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে এখন যারা সরব, তাদের সমালোচনাও করেন তিনি।
হাসিনা বলেন, "তারা এখন এত কথা বলেন, অতীতের দুর্নীতি নিয়ে তো কথা বলেন না।"
দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "দুর্নীতিবাজদের বিচার অবশ্যই হবে। আন্তর্জাতিকভাবে যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকৃত, তাদের বিচার হবে।"
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা না হলে শান্তি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বিএনপি বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন হাসিনা।
হাসিনার বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এতে সভাপতিত্ব করছেন হাসিনা।
উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈঠকে রয়েছেন আমির হোসেন আমু, এইচ টি ইমাম, আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিলকে বৈঠকে দেখা যায়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এমআই/১৮৫৫ ঘ.