পদ্মা সেতু: তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চায় বিএনপি

বিডিনিউজ২৪
Published : 16 Sept 2011, 08:59 PM
Updated : 16 Sept 2011, 08:59 PM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ প্রশাসনিকভাবে না করে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "সরকার এতদিন পর বলছে, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হবে। এ সেতু নির্মাণের আগেই ১ হাজার ২১ কোটি টাকা চলে গেছে। কোথায় গেলো ওই অর্থ। সরকারকে বলবো, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করে দিন। তারাই এ দুর্নীতির তদন্ত করবে।"

পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের তদারককারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকায় কানাডার একটি প্রতিষ্ঠানের 'দুর্নীতি' নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এ প্রকল্পের অর্থের মূল যোগানদাতা বিশ্ব ব্যাংক।

এরপর বৃহস্পতিবার সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগর জিয়া পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার তৃতীয় কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রফিকুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, "সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। শেয়ারবাজারেে ক হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে সরকারের একটি মহল। তাদের বিরুদ্ধে বিচারের ব্যবস্থা নিতে পারেনি র্অ মন্ত্রণালয়। সরকারের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভাই দায়ী।"

রফিকুল এ দাবি করার সময়ই গণভবনে দলের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে বাদ দেবেন।

রফিকুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সমালোচনা করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে করে রফিকুল বলেন, "এরশাদ আমলেও বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১/১১ এর সময়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। কিন্তু আমরা বলতে চাই, খালেদা জিয়ার বিএনপিকে কেউ কোনোদিন ভাঙাতে পারবে না।"

মহানগর জিয়া পরিষদের শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদ প্রমুখ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এমআই/২০০৩ ঘ.