সড়কে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা

বিডিনিউজ২৪
Published : 25 Sept 2011, 06:29 AM
Updated : 25 Sept 2011, 06:29 AM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে করতে হবে- একটি দৈনিকে এ প্রতিবেদন দেখে রোববার সকাল ১১টায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

হাজার শিক্ষার্থীর ওই মিছিল সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছে। এরপর শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টের মাঝে সড়ক দ্বীপ কদম ফোয়ার চার পাশে বসে পড়েছে। তারা সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে।

ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে ব্যস্ততম ওই সড়কে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। আশপাশের সড়কে দেখা দিয়েছে ব্যাপক যানজট।

বিক্ষোভের কারণে আটকা পড়েছেন ময়মনসিংহ-৬ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ তার গাড়িটি ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলে ছাত্ররা উল্টো তার গাড়ির সামনে বসে পড়েন। তার গাড়ি ছাত্রদের ঘেরাওয়ের মধ্যে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে আইনে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার ২৪(৪) ধারায় বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে করতে হবে।

"এ আইন পরিবর্তনের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। কারণ এটি বাস্তবায়ন করলে টিউশন ফি অনেক বেড়ে যাবে, তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এর পার্থক্য থাকবে না," বলেন তিনি।

ছাত্ররা জানায়, আগে তাদের সেমিস্টার ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা থাকলেও অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে গিয়ে এখন তা ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আইনের ২৭ (৪) ধারা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হলগুলো উদ্ধার, গ্রন্থাগার স্থাপন, পরিবহন সুবিধা বাড়ানো ইত্যাদি।

এদিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর জবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

কালের সাক্ষী জগন্নাথ কলেজকে ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তবে সরকারি হলেও ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক ও অর্থ সঙ্কটে চলছে ধুঁকে ধুঁকে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসএসজেড/কেটি/এএএইচ/এমআই/১২০০ ঘ.