‘সমাবেশে যানজট হলে দায় সরকারের’

বিডিনিউজ২৪
Published : 26 Sept 2011, 10:50 AM
Updated : 26 Sept 2011, 10:50 AM

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের কারণে যানজট হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার মেয়র ও বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা।

সোমবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন বলেন, "সরকার আমাদের পল্টন ময়দানে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। বিএনপির মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের জনসভা ঢাকা মহানগরীতে যেখানে-সেখানে করা সম্ভব নয়।"

"পল্টন ময়দানে জনসভা করতে না দিয়ে সরকার নগরবাসীকে যানজটের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলবে। এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে", যোগ করেন খোকা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর বর্তমান সরকারের আমলে চারদলীয় জোটের উদ্যোগে এটিই হবে প্রথম জনসভা। মঙ্গলবার এ জনসভা থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। খোকা আশা করছেন, এটি হবে এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ জনসভা।

মেয়র বলেন, "দেশের মানুষ সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ ও ভীত সন্ত্রস্ত। তাই আগামীকাল খালেদা জিয়া দেশের মুক্তির জন্য কী পথ দেখান- তা শুনতে ও জানতে মানুষজন এ জনসভায় যোগ দিতে উদগ্রিব হয়ে আছে। আমরা মনে করি, এ জনসভায় লোক সমাগম হবে এ যাবতকালে সর্ববৃহৎ।"

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় জনসভাটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকার জনসভার জন্য প্রচার চালানোর সুযোগ দেয়নি অভিযোগ করে খোকা বলেন, "জনসভার মাইকিংয়েরও অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পোস্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরণে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বাধা দিয়েছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।"

এক প্রশ্নের জবাবে খোকা বলেন, এতোবড় জনসভায় নিরাপত্তার দায়িত্বটি সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর বর্তায়। তাই জনসভার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। এর বাইরে দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবেই জনসভা হবে। সরকারের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। তবে দূর-দূরান্ত থেকে জনসভায় আসতে অতীতে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দেওয়ার নজির আওয়ামী লীগে রয়েছে।"

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার মঞ্চ হবে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর। নটরডেম কলেজ, কাকরাইল, শান্তিনগর, জিরো পয়েন্ট, শাপলা চত্বর পর্যন্ত মানুষ যাতে নির্বিঘেœ খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে পারেন, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মঞ্চ থেকে দূরে বিভিন্ন স্থানে খালেদার বক্তৃতা দেখানো হবে বড় পর্দায়।

এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো (ওয়েবকাস্ট) হবে এই জনসভা।

বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা এই জনসভার কার্যক্রম 'সারাদেশের মানুষের কাছে' সরাসরি স¤প্রচারের জন্য বেসরকারি টেলিভিশন ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এর আগে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনসভার সর্বশেষ প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মহানগর সভাপতি, সদস্য সচিব ও যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সেলিম রেজা হাবিব, শাহজাদা মিয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, এ বি এম মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/আরএ/জেকে/১৬৪০ ঘ.