ফখরুদ্দীন-মইনের শাস্তির সুপারিশ

বিডিনিউজ২৪
Published : 20 Dec 2011, 10:44 AM
Updated : 20 Dec 2011, 10:44 AM

ঢাকা, ডিসেম্বর ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭ সালে ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ, তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ এবং পুলিশের তৎকালীন মহা পরিদর্শক ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কমকর্তাদের দায়ী করেছে সংসদীয় উপকমিটি।

এ ঘটনায় প্রচলিত আইনে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তিরও সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির প্রতিবেদনে।

উপকমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান মেনন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

জিমনেসিয়ামে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে সেনাসদস্যদের তর্কাতর্কির জের ধরে ২০০৭ সালের ২০ থেকে ২৩ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তখন গ্রেপ্তার করা হয় চার জন শিক্ষকসহ অনেক ছাত্রকে। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয় তাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে সারাদেশে ছাত্রবিক্ষোভের মাধ্যমে। ফলে পিছু হটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনা সমর্থিত ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ওই সময়ের ঘটনার অনুসন্ধানে এ উপ-কমিটি করে।

গতবছর কাজ শুরুর করার পর উপ-কমিটি বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনে। ছাত্ররা ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থায় ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের জন্য ওই সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে দায়ী করে।

তবে সংসদীয় কমিটিতে য্ক্তুরাষ্ট্র থেকে টেলিকনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেন মইন।

উপ-কমিটি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদকেও তলব করে। জবাবে বিদেশে অবস্থানরত ফখরুদ্দীন ই-মেইলে তার বক্তব্য পাঠালেও তা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মনে করে সংসদীয় উপকমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেনন গত ৮ ডিসেম্বর জানান, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের 'দায়িত্বে থাকা' ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে উপকমিটি। প্রতিবেদনটি সংসদে উপস্থাপন করা হলে এরপর স্পিকার ও সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/কিউএইচ/জেকে/১৫০৩ ঘ.