তিস্তা চুক্তি হলো না কেন, প্রশ্ন এরশাদের

বিডিনিউজ২৪
Published : 17 Jan 2012, 04:54 AM
Updated : 17 Jan 2012, 04:54 AM

ঢাকা, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণ এবং এক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতাগুলো জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন জোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে মঙ্গলবার তিস্তা অভিমুখে লং মার্চ শুরুর পর আশুলিয়ায় এক পথসভায় তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। কৃষকরা আবাদ করতে পারছেন না।

সরকারের প্রতি এরশাদ প্রশ্ন রাখেন, "কেন তিস্তা চুক্তি হলো না? এর কারণ কী? আপনাদের ব্যর্থতা কী ছিল?"

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বনানীতে দলের কার্যলয় থেকে লং মার্চের গাড়ি বহর নিয়ে নীলফামারী অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন এরশাদ, যিনি এর আগে টিপাইমুখ অভিমুখেও একই ধরনের কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সকাল ১০টায় গাড়ি বহর অশুলিয়ার জামঘরায় পৌঁছানোর পর এরশাদ প্রথম পথসভায় বক্তৃতা করেন। এ সময় তার পরনে ছিল কালো স্যুট, চোখে সানগ্লাস।

ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমরা গরিব দেশ। আমাদের ওপর অন্যায়-অবিচার করবেন না। আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। তাহলেই আমরা বন্ধু থাকবো।"

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

মনমোহন পরে বলেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, শিগগিরই এ চুক্তি হবে।

অভিন্ন নদীর তিস্তার পানির ওপর দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি অনেকাংশেই নির্ভরশীল। তাই সব মৌসুমে এই নদীর পানি যথেষ্ট পরিমাণে নিশ্চিত করতে চাইছে বাংলাদেশ।

দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, "আমাকে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিন। দ্রব্যমূল্য কমবে। সন্ত্রাসও বন্ধ হবে।"

"পরিবর্তন (ক্ষমতায়) এলে সবার ঘরে শান্তি ফিরে আসবে", প্রতিশ্র"তি দেন সাবেক এই সেনা শাসক।

আশুলিয়ার পথসভা শেষে সাভারের পথে রওনা হয় এরশাদের লং মার্চ। সেখানে বিকেএসপি মাঠে তার দ্বিতীয় পথসভা হওয়ার কথা। এরপর এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে দুটি, বগুড়ায় চারটি, গাইবান্ধায় দুটি এবং রংপুরে আরো চারটি পথসভায় তিনি বক্তৃতা করবেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার রাতে রংপুরে যাত্রা বিরতির পর বুধবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে আবার যাত্রা শুরু হবে। বুধবার বিকাল ৩টায় নীলফামারীর তিস্তা ব্যারেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেবেন এরশাদ।

রুহুল আমীন হাওলাদার আশা করছেন, মোট চার হাজার গাড়ি নিয়ে নীলফামারীতে পৌঁছাবেন তারা।

এর আগে বরাক নদীর উজানে টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে গত ডিসেম্বরে সিলেট অভিমুখে লং মার্চ করেন এরশাদ। এই দাবি আদায়ে সব দলকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআই/জেকে/১১০২ ঘ.