পরিচয়পত্র যাচাইয়ে ইসির সঙ্গে চুক্তি করছে এনবিআর

বিডিনিউজ২৪
Published : 25 Jan 2012, 05:51 AM
Updated : 25 Jan 2012, 05:51 AM

মঈনুল হক চৌধুরী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ঢাকা, জানুয়ারি ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা ও কর ফাঁকি ঠেকাতে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তি করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার এনবিআরের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও চুক্তি হবে। চুক্তির আতওায় এককালীন ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করবে এনবিআর।

বিভিন্ন সংস্থার সেবার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার আগে তথ্য যাচাইয়ে এ ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে ইসি।

এনবিআর মহাপরিচালক (ট্যাক্সেস ইন্সপেকশন) কানন কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনবিআরের সেবা গ্রহণকারীদের যথাযথ তথ্য যাচাইয়ে ইসির এ তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা হবে।

"প্রাথমিকভাবে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্টদের জাতীয় পরিচয় নম্বর অনলাইনে যাচাই করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাজেও এর পরিধি বাড়ানো হবে।"

বর্তমানে দেশে ৩০ লাখেরও বেশি টিআইএন রয়েছে। অন্যদিকে দেশের প্রায় সাড়ে আট কোটি ভোটারের অধিকাংশেরই হাতে বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতারুজ্জামান সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নির্বাচন কমিশন অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করেছে। এক্ষেত্রে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি ধার্য করা হয়েছে।

এর আওতায় নিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শুধু সুনির্দিষ্ট কোনো পরিচয়পত্র বৈধ কি না তা যাচাই করতে পারবে। এ সময় পরিচয়পত্রধারীর ছয়টি তথ্য-উপাত্ত (নাম, পিতা/স্বামী, মাতা, জন্মতারিখ, রক্তের গ্র"প ও ছবি) পাওয়া যাবে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বছর পরপর এক লাখ টাকা ফি দিয়ে এ চুক্তি নবায়ন করতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য এক টাকা করে দিতে হবে। এককালীন, বার্ষিক ও মাসিক ভিত্তিকে এসব সার্ভিস চার্জ ইসির কাছে জমা দিতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এ সেবা চালু হলে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে বা ভুয়া পরিচয়ের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রতারণা ঠেকানো সম্ভব হবে। ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণাও রোধ হবে এতে। পাশাপাশি গ্রাহক সেবা দেওয়া যাবে দ্রুত। তথ্য যাচাইয়ে আগের মতো কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।

নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ছবিসহ ভোটার তালিকার তথ্যভাণ্ডারকে কাজে লাগিয়ে সেবা দিতে এ অনলাইন ভেরিফিকেশন সার্ভিস। তবে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনগত কাঠামোয় ইসি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি করা হবে।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/জেকে/০৯৩০ ঘ.