নয় দিন পর লাশ ফেরত এল

বিডিনিউজ২৪
Published : 26 Jan 2012, 04:48 AM
Updated : 26 Jan 2012, 04:48 AM

কুড়িগ্রাম, জানুয়ারি ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি যুবকের লাশ নয় দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতের পুলিশ।

বুধবার বিকাল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের দিনহাটা থানা পুলিশ ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের কাছে আব্দুল লতিফ লেবুর (৩৫) লাশ হস্তান্তর করে।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বাঘভান্ডার বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার মকবুল হোসেন ও ভুরুঙ্গামারী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।

ভারতের পক্ষে ছিলেন চৌধুরীরহাট বিএসএফ দপ্তরের কমান্ডার টিএম বার্ন ও দিনহাটা থানার উপ-পরিদর্শক জীবন কৃষ্ণ দাস।

এর আগে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরে পুলিশ নিহত যুবকের স্ত্রী নার্গিস বেগমের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ সময় লেবুর চাচা বাহার আলী ও ছোট ভাই শিবলু মিয়াসহ অন্যান্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৬ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঘভান্ডার সীমান্তের জিরো লাইন ঘেঁষে নোম্যান্সল্যান্ডের ভারতীয় অংশে লেবুর লাশ পাওয়া যায়। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ লাশটি নিয়ে যায়।

কুড়িগ্রামের ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বাঘভান্ডার কোম্পানি কমান্ডার মকবুল হোসেন লাশ হস্তান্তরের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি বাগভান্ডার সীমান্তের ৯৬২ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই মিটার ভিতরে নোম্যান্সল্যান্ডের ভারতীয় অংশে লাশটি পাওয়া যায়।

পরে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি, বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর অজ্ঞাত ওই লাশটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ লেবুর বলে পরিচয় পাওয়া যায়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবি দেখার পর নিহতের চাচা বাহার আলী ২১ জানুয়ারি বাঘভান্ডার বিজিবি বিওপিতে এসে এ দাবি জানান।

নিহতের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, লেবু এলাকায় সাইনবোর্ড লেখাসহ পেইন্টারের কাজ করতেন। গত ১৪ জানুয়ারি পাশের ডুয়াইল এলাকার ফকির মিয়া নামের এক বন্ধু তার পঞ্চগড়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে লেবুকে নিয়ে আসেন।

"পরদিন রাত ৮টার দিকে লেবু মোবাইল ফোনে জানায় সে ভূরুঙ্গামারী এসেছে। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে ফকির মিয়ারও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি," বলেন লেবুর স্ত্রী।

ভূরুঙ্গামারী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লেবুকে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে যায়। লাল কালো ছাপের চাদর দিয়ে লাশটি ঢাকা ছিল।

গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চিহ্ন এবং পেটে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, লেবু কিভাবে এই এলাকায় এসেছে এবং কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/আরআরডি/ডিডি/২১১৭ ঘ.