মুন্সীগঞ্জ/চাঁদপুর, মার্চ ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান খন্দকার শামসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুর পর্যন্ত ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
"নদীর তলদেশে লঞ্চটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। চরকিশোরী এলাকায় প্রায় ৭০ ফুট পানির নিচে রয়েছে লঞ্চটি। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম কিছুক্ষণের মধ্যে কাজ শুরু করবে।"
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের খোঁজে তাদের স্বজনরা নদী তীরে জড়ো হয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ ছাড়াও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানান শামসুজ্জামান।
লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল আলম জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে গজারিয়ার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী দুলাল দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, এমভি শরিয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
দুলাল জানান, লঞ্চের আড়াইশর মতো যাত্রীর অধিকাংশই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী এমভি মিতালী নামের আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
মিতালী লঞ্চের আনসার কমান্ডার আব্দুল হালিম জানান, "শরীয়তপুর-১ ডুবে যাচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের লঞ্চের সবগুলো বয়া নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে করেই প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা গেছে।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রী দুলাল জানান, তিনি বেঁচে গেলেও তার পরিবারের ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে তার শ্যালক শামীম ফকির ও তার স্ত্রী পলীও ছিলেন, যাদের মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/জেকে/১৪১২ ঘ.