সাক্ষাৎকার: দৃষ্টান্ত হতে পারে বাংলাদেশ

বিডিনিউজ২৪
Published : 20 March 2012, 03:22 AM
Updated : 20 March 2012, 03:22 AM

ঢাকা, মার্চ ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক সংস্থার প্রধান জোসে গ্রাযিয়ানো দ্য সিলভা মনে করেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।

দুদিনের সফরে রোববার ঢাকা আসা জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) নতুন মহাপরিচালক জোসে গ্রাযিয়ানো সোমবার এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কথা বলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সঙ্গে।

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এফএও প্রধান বলেন, "আপনি খাওয়া-দাওয়া করেন আপনার ঘরে। তাই উদ্যোগটাও নিতে হবে ওখানেই।"

প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার মেয়াদে (দুই দফায় ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জোসে গ্রাযিয়ানো। সেসময় তিনি 'ক্ষুধামুক্তি কর্মসূচি'র (জিরো হাঙ্গার প্রোগ্রাম) মাধ্যমে ব্রাজিলের দুই কোটি ৮০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যসীমা থেকে তুলে আনেন মাত্র আট বছরে।

তৌফিক খালিদী জানতে চান, তার ওই অভিজ্ঞতা বৈশ্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে কতটা কাজে লাগানো যেতে পারে?

উত্তরে হোসে গ্রাযিয়ানো বলেন, "দেশীয় পর্যায় থেকেই ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এতে পুরো দেশ যুক্ত হতে হবে।"

এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, "ক্ষুধার্ত মানুষেরা থাকে ছোট ছোট গ্রামে। আর কৃষকরা থাকে [এরই] ছোট ছোট এলাকায়।"

তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো প্রসঙ্গে জোসে গ্রাযিয়ানো বলেন, "সব দেশের জন্য চলবে এমন কোনো সরল পদ্ধতি নেই। যে দেশে যেভাবে কাজ করা দরকার তা সে দেশকে খুঁজে নিতে হবে।"

ব্রাজিলের সাফল্যগুলোর ভিত্তি করে নিজ নিজ দেশে কাজ করা যায় বলে মনে করেন তিনি।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই কাজ করছে উল্লেখ করে এক প্রশ্নের উত্তরে জোসে গ্রাযিয়ানো বলেন, "আমরা একটা রূপরেখা তৈরি করছি। ক্ষুধামুক্তির জন্য কাজ করছে এমন দেশগুলোর জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করছি।"

এফএও'র মহাপরিচালক হওয়ার আগে জোসে গ্রাযিয়ানো একই সংস্থার লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সহকারী মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্পেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হারিয়ে এফএও'র মাহপরিচালক নির্বাচিত হন জোসে গ্রাযিয়ানো। কৃষি অর্থনীতির সাবেক এই অধ্যাপক ২৬টি বইও লিখেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/টিআইকে/পিডি/০০৫৪ ঘ.