ঢাকা, এপ্রিল ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অবৈধ অর্থ লেনদেন নিয়ে আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দূররানির পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া সাক্ষ্যের অনুলিপি পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত গত ৩০ মার্চ দূররানির ওই সাক্ষ্যকে 'ক্লাসিফায়েড' বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে বলে রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে জানান পাকিস্তানে বাংলাদেশ কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
ওই সাক্ষ্য 'ক্লাসিফায়েড' ঘোষিত হওয়ায় বাংলাদেশকে তা দেওয়া হচ্ছে না।
গত ৮ মার্চ আদালত বলে, "জাতীয় স্বার্থে এসব নথি কনফিডেনশিয়াল হিসাবে সংরক্ষণ করা হবে।"
ডেপুটি হাই কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের পর সাক্ষ্যের অনুলিপি পাওয়া সম্ভব নয়। এটা সাধারণের জন্য প্রকাশ না করার আগে আমরা এটা পাবো না।"
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীসহ তিন বিচারপতিকে নিয়ে আদালতের ওই বেঞ্চ গঠিত।
গত মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান ও ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দূররানি আদালতে তার সাক্ষ্যে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় বিএনপিকে অর্থ দিয়েছিল তার সংস্থা।
গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও দুই দলের সাংসদদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
৭৭ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর গত ১৮ মার্চ সংসদে ফিরলেও অর্থ নেওয়ার এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই গত ২৯ মার্চ থেকে আবার সংসদে যাচ্ছে না বিএনপি। দলটি বলেছে, অর্থ নেওয়া বিষয়ক বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে প্রত্যাহার না হলে তারা অধিবেশনে যাবে না।
গত ২৪ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় আইএসআই বিএনপিকে অর্থ দিয়েছিল বলে সংস্থাটির সাবেক প্রধান আদালতে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তার অনুলিপি চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপিকে আইএসআইয়ের অর্থ দেওয়ার খবর গত ২২ মার্চ নাকচ করে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে গত ১৪ মার্চ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দূররানির ওই সাক্ষ্য 'ক্লাসিফায়েড' না করার বিপক্ষে নন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএইচ/পিডি/২২১০ ঘ.