কামাল হোসেন তালুকদার
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, মে ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ট্রাফিক সংকেত না চিনলেও লাইসেন্স পেতে কোনো সমস্যা হয়নি সাংবাদিক বিভাস চন্দ্র সাহার প্রাণ কেড়ে নেওয়া বাসের চালক মফিজুল ইসলামের।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। শনিবার রাতে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে মফিজকে ঢাকায় নিয়ে আসে পুলিশ।
দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে মফিজ বলেন, "ওই দিন রাস্তায় জ্যাম ছিল। আশপাশের লোকজনের চিৎকারে বুঝতে পারি, আমার বাসের নিচে হোন্ডা (মোটরসাইকেল) চাপা পড়েছে।"
দুর্ঘটনার পর গাড়ি থামিয়ে কৌশলে যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যান বলে জানান মফিজ। দুর্ঘটনার বিষযটি মোবাইল ফোনে বাসের মালিক হাসানকে জানালে তিনিই পালানোর পরামর্শ দেন।
লেখাপড়া কতটুকু জানেন- এ প্রশ্নের জবাবে মফিজ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি পড়তে পারেন না, শুধু নিজের নাম লিখতে পারেন।
এ সময় কয়েকটি ট্রাফিক সংকেত দেখানো হলে মফিজ বলেন, "আমি এগুলো চিনি না।"
লেখাপড়া না জেনে এবং ট্রাফিক সাইন না চিনে কীভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলেন জানতে চাইলে মফিজ বলেন, "একটা কাগজে সই করে লাইসেন্স পাইছি। ঝামেলা হয়নি।"
এ সময় একটি কাগজে নিজের নাম লিখতে বলা হলে তিনি লেখেন- 'মফিজল'।
ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিভাস গত শুক্রবার মোটরসাইকেলে করে ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কে তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় মৈত্রী পরিবহনের বাসটি তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিভাস।
তদন্ত কমিটি
দুর্ঘটনার দিন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়া, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও আপেশাদার আচরণের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটির প্রধান হিসাবে রয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ মারুফ হাসান। এছাড়া সদস্য হিসাবে আছেন রমনা বিভাগের এডিসি আ স ম মাহতাবউদ্দিন।
তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কেটি/আরআরডি/আরএ/জেকে/১৫১৩ ঘ.