রুলিং দেবেন স্পিকার

বিডিনিউজ২৪
Published : 6 June 2012, 04:57 PM
Updated : 6 June 2012, 04:57 PM

ঢাকা, জুন ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য এবং তাতে মহাজোটের সংসদ সদস্যদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে জাতীয় সংসদে রুলিং দেবেন স্পিকার আবদুল হামিদ।

ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বুধবার সংসদ অধিবেশনে একথা জানালেও মহাজোটের সংসদ সদস্যরা হাই কোর্টের ওই বিচারককে সরাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর দাবিতে অনড় রয়েছেন।

উচ্চ আদালতের একটি আদেশ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল অপরাধ বলে মঙ্গলবার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মন্তব্য করলে তা নিয়ে রাতে সংসদে তুমুল সমালোচনা ওঠে।

ক্ষমতাসীন মহাজোটের সংসদ সদস্যরা ওই বিচারকে অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানানোর পাশাপাশি বিচারপতি অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার হুমকিও দিয়েছেন।

সংসদ ও বিচার বিভাগের এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে বুধবার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিষয়টি তুললে ডেপুটি স্পিকার জানান, স্পিকার এ বিষয়ে রুলিং দেবেন।

মহাজোট নেতা মেনন বলেন, "আপনি (ডেপুটি স্পিকার) বলেছিলেন, এ বিষয়ে জানাবেন। জাতি আপনার রুলিংয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সবাই আপনার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।"

তখন শওকত আলী বলেন, "তিনি (আবদুল হামিদ) নিজে এ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। গতকাল এবিষয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি প্রস্তুত হচ্ছেন।"

ডেপুটি স্পিকারের বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, "এটি রুলিংয়ের বিষয় নয়, এটি রেজুলেশনের (সিদ্ধান্ত) বিষয়। আমরা রেজুলেশন হিসেবে এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে চাই। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। রাষ্ট্রপতিই পারেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।"

এরপর আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ বলেন, "আজ (বুধবার) পত্রিকায় যেভাবে দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে তিনি (শামসুদ্দিন চৌধুরী) সংসদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।"

"আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব, সেটি পুরো সংসদের সিদ্ধান্ত। আমাদের সিদ্ধান্ত যাবে। স্পিকার তাতে মতামত দেবেন। তারপর সেটা প্রস্তাব আকারে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন," বলেন তোফায়েল।

সবশেষে শওকত আলী বলেন, "সকল বিষয় নিয়ে স্পিকার সংসদে বক্তব্য দেবেন। আজকে দেবেন না। দু-একদিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি সংবিধান ও আইন-কানুন দেখছেন।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এমআই/২১০৬ ঘ.