আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া…………..?

সুজন হাওলাদার
Published : 25 Feb 2015, 03:48 AM
Updated : 25 Feb 2015, 03:48 AM

আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া – করিতে পারিনি চিৎকার, বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। নিজেকে ধিক্কার জানানো ছাড়া এ মুহুর্তে আমাদের আর কোন পথ খোলা নেই। আমার পথে পথে পাথর ছড়ানো…… রবীন্দ্রনাথের সেই গানের মত যেন পথে পথে আজ কাটা ছড়ানো। শোক, শাস্তি বা প্রতিবাদ – প্রতিরোধের ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি।

যখন টেলিভিশনের পর্দায় দেখি মায়ের জন্য সন্তান, সন্তানের জন্য মা কিংবা বাবার আহাজারী ভেদ করে শেষ পর্যন্ত নিয়তির
নিষ্টুরতম যবনিকাপাত প্রিয় জনের বিকৃত হয়ে যাওয়া মুখের লাশটি পেয়ে গগন বিদারী কান্নার আওয়াজ । নির্মম মৃত্যুর ভয়াবহতা টেলিভিশনের পর্দায় দিন রাত লাইভ দেখে বুকের ভিতর চিন চিন ব্যাথা অনুভব করা আর চোখের লোন জল নিজের অজান্তে গড়িয়ে পরা ছাড়া যেন আর কিছুই করতে পারছি না। নিজের হাত দু' টো যেন আর চলছে না। মনের সাথে শরীরের এ এক নিবিড় যোগসূত্র। মন ভাল থাকলে শরীর ভাল থাকে। ভাল কাজ করা সম্ভব হয়। আর মন ভাল না থাকলে শরীরের কোন অংগ প্রতংগই যেন কাজ করতে চায় না ।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা জাতিস্বত্তাটাকে ফিরে পেতে আরো কত রক্ত ঝরাতে হবে কে জানে? জ্বলছে মানুষ, জ্বলছে দেশ, পুড়ছে বিবেক, ছাই হয়ে যাচ্ছে জাতিস্বত্তা। অথচ ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। মাঝে মাঝে মনে হয় এখনও বসে আছি কেন? নামছি না কেন পথে? লড়ছি না কেন ওদের বিরুদ্ধে, যারা দেশত্ববোধের মেকি চাদর গায়ে দিয়ে মিথ্যা বুলি আউড়ে দেশকে ধ্বংস করছে, ধ্বংস করছে অনেক কষ্টে, অনেক রক্তের বিনিময়ে কেনা জাতি স্বত্তাকে। সত্যি আমিও অপরাধী, আমার অপরাধ, আমি অপারগ। কেননা একদলের হাতে আছে শাসনযন্ত্র আর বৈধ অস্ত্রের সমারহে সরকারী গুন্ডা বাহিনী আর অন্য দলের হাতে আছে কিছু হায়না আর কিছু নরপশু।আমারা আশা রাখী গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দল সংযত হবে এবং সুস্থ সমাধান বের করবে ।