শত কষ্টের মাঝে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন এর সুখ

এম এস রহমান
Published : 28 Dec 2014, 11:56 AM
Updated : 17 Feb 2011, 04:18 AM

১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এখনও অর্জিত হয়নি অনেক রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য। যানজট, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক-নেশা, নারী নির্যাতন, ভাংচুর এখনো আতঙ্ক ছড়ায়। দারিদ্রের কষাঘাতে এখনো অসহায় বাঙালী হাহাকার করে। যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে, কখনো বা সম্ব্রম হারিয়ে অসহায় নারী আত্মাহুতি দেয়। সুচিকিৎসার অভাবে অনেকে মারা যায়। প্রকাশ্য সন্ত্রাসী টাকার জোরে জামিন পায়,বুক ফুলিয়ে চলে অথচ অনেক অসহায় মানুষ আইনের সাহায্য চেয়ে, অবেশেষে পালিয়ে বেড়ায়। নৈতিক মূল্যবোধ দ্বারে দ্বারে পদদিলত, নিষ্পেষিত। ঘূষ ছাড়া ফাইল নড়ে না। শিশুদের বিকলাঙ্গ করে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়। নারী বিদেশে পাচার হয়ে পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য হয়, দেশে এসে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে। সাধারন মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। মজুতদার-কালোবাজারীরা সমাজ সেবক এর্ প্রসংশা পায়। মেধা, যোগ্যতা কালো টাকার দাপটে অসহায়। নাগরিক হিসেবে দ্বায়িত্ববোধ, পেশাগত দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম, ভ্রাতৃত্ব ও র্নিলোভ ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বিরল।

তবুও বাঙালি স্বপ্ন দেখে। আশায় বুক বাঁধে, একদিন দুর হবে সব অপ্রাপ্তি। বাঙালি স্বপ্ন দেখে, কোন এক বৈশাখী ঝড়ের তান্ডব লীলাতে সকল কালীমা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে, বাংলাদেশ মাথা তুলে দাড়াবে।
স্বপ্ন আছে বলেই বাঙালী বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায়। প্রতিটি সূর্যোদয়ের আশার আলোতে জেগে উঠে । নব উদ্যমে বাঁচতে চায়। এ উদ্যমের অংশ হিসেবেই অন্যতম গার্মেন্টস ও নীট ওয়্যার রপ্তানীকারক হিসেবে বাংলাদেশ মাথাতুলে দাড়িয়েছে, বাংলাদেশে তৈরী জাহাজ ইউরোপে রপ্তানী হয়, বাঙালী সেনারা বিশ্ব শান্তি মিশনে যায়, প্রবাসীর উপার্জনে অর্থনীতি উন্নত হয় এবং ক্রিকেটে বাংলাদেশ সাফল্য পায়। এসেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজক হওয়ার সম্মান। শত না পাওয়ার মাঝেও সুখের হাসিতে বুক জুড়ায়।