সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে পুলিশের আগুন

বিপ্লব মল্লিক
Published : 13 Dec 2016, 01:12 PM
Updated : 13 Dec 2016, 01:12 PM

রক্ষকই যখন ভক্ষক, এই বাংলায় এটি একটি পরিচিত শব্দ। তবে সেই রক্ষক পুলিশ সেই ভক্ষকও পুলিশ। জনগনের নিরাপত্তা দিবে পুলিশ। সেই পুলিশই যদি এদেশের সংখ্যালঘুদের ঘরে আগুন দেয় তাহলে পুলিশ কি নিরাপত্তা দিবে সেটা ভাবার বিষয়। হ্যাঁ, তবে যদি ভিডিও না থাকত তাহলে কী হতো? হয়ত এটা চাপা পড়ে যেত। বারবার অনেক ঘটনা ঘটছে এদেশে যেটার ভিডিও যদি কোন দর্শনার্থী করে থাকে তাহলে বেশ, নতুবা সারাদিন চলবে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি সাঁওতালদের উপর হামলার অনেক নাটক আমরা দেখেছি। তবে আগুন কারা দিয়েছে সেটা মোটেও নিশ্চিত ছিলাম না আমরা সাধারণ মানুষ। আজ মানুষ যেখানে নিরাপদ থাকার জন্য পুলিশের কাছে ছুটবে সেখানে পুলিশ থেকে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছে।

এখন সাধারণ মানুষ ভেবে নিতে শুরু করেছে আড়ালে অনেক কিছু ঘটে কিন্তু তার পেছনে থাকে ভয়ংকর সব কাহিনী।সেই ভিডিওতে স্বয়ং পুলিশের আগুন দেওয়ার চিত্র ফুলেট উঠেছে সেখানে অস্বীকার করা বাতুলতা। তবে এটা অস্বীকার করতে হবে কারণ অস্বীকার করাও পুলিশের যেন একটা নিয়ম।বরাবরই ক্ষমতার অপব্যবহার কাউকে স্বস্তি দেয় না বরং ক্ষমতার আয়ু কমায়।পুলিশের আগুন দেওয়ার ঘটনা হয়ত সারাজীবন ঐ সাঁওতালবাসীর জন্য মনে দাগ কেটে থাকবে। তারা হয়ত কখনও নিজেরদের নিরাপত্তার জন্য এই বাংলার পুলিশকে বিশ্বাস করবে না।যে মানুষ যে প্রশাসন তাদের বসতভিটায় আগুন দিয়েছে, খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য করেছে তারা যেন তাদের কাছে এক অবিশ্বাসী ভয়ংকর দানব। এ পোশাক পরা মানুষগুলোই যখন তারা দেখবে, তখন তাদের ভয়ংকর অতীতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। নিয়ে আসবে ঘৃণা। আর সংখ্যালঘুর তকমাটা এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে কাঁদাবে।

অন্যদিকে গণমাধ্যমকে মানুষ আজ আপন করে নিচ্ছে।সবাই আজ গণমাধ্যমকে ভালোবসতে শুরু করেছে।নিজেদের নিরাপদের জায়গা মনে করছে গণমাধ্যমকে।করণ গণমাধ্যমই দাঁড়িয়ে আছে জনতার পাশে।গণমাধ্যমেই বলছে ক্ষমতাবানদের বিপক্ষে। গণমাধ্যমই বলছে সাধারণ মানুষের পক্ষে। ইতিহাস বলে ক্ষমতাকে ব্যবহার আর ক্ষমতাকে অপব্যবহার দুটো ভিন্ন জিনিস। ক্ষমতার অপব্যবহার সময়কে ছোট করে নিয়ে আসে। হয় পতন, হয় ক্ষমতার শেষ।

দেখুন সেই ভিডিও।

লেখকের ফেসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/biplob.mallik