গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্র

বিতর্ক লেখক
Published : 11 Sept 2012, 04:39 AM
Updated : 11 Sept 2012, 04:39 AM

সাইকোপ্যাথি লিখার পরে আমি আরো কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু ইতিহাস নিয়ে না লিখলে লিখার মর্মতা থাকবে না। অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও আমাকে লিখতে হবে। আমার সময় কম। শরিরেরও অবস্থাও ভাল না। রাতে ঘুম আসে না। কখনও কখনও ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাই। বন্ধুবান্ধব কারো বাসায় যাই না। একা একা ঘরে মরছি। তাই লিখা লিখি সুরু করেছি। কারন জানতে চাইবেন না, সময় হলে আমি নিজেই সব বলবো। আপনাদের ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। কাজ ও বাসা ছারা ব্লগের পাঠকেরাই আমার বন্ধু। একরকম নিস্তব্দ হয়েই জীবন কাটাচ্ছি। বাংলায় লিখার অভ্যাসটা হারিয়েই ফেলিছিলাম। ব্লগে লিখার নেশাই আমার লিখার শক্তিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি জানি আমার লিখার তেমন মানসম্মত নয়। যতটুকুই এসেছি পুরোটাই আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরনায়ই হয়েছে।
আমার লিখা পরে আনেকে কটাক্ষ করেছেন, অনেকে হেসেছেন আবার অনেক পাঠক একমতও প্রকাশ করেছেন। এ সবই আমার কাছে অনুপ্রেরনা।


১৯৯০ সালের সৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে সময় বয়স কম থাকার কারনে মহাসরকে আন্দোলন করার সাহস হয় নি। তবে এটা মনে আছে এরশদ পতনের পর আমরা পারার ছেলেরা আনন্দ মিছিল করেছিলাম। মা অবশ্য কিছুই জানতো না। তখন ভেবেছিলাম দেশে এক বিরাট সুখ আসবে। আমাদের এলাকা থেকে ড: কামাল হোসেন দাড়িয়েছিলেন। ভেবেছিলাম উনিই জিতবেন। আসলে মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আসুন এইবার ইতিহাসের পাতা থেকে ঘুরে আসি।

জার্মানি ১৯৩২ এর পূর্ববর্তি সময়। কমিউনিস্ট পার্টির মৌলবাদিত্বে মানুষ কিছুটা আস্থির। সামাজিক ও অর্থনৈতিক মন্দা ভাবের কারনে েপ্রসিডেণ্ট পল ভন হিনডেনবার্গ ওয়েমারের (জার্মানির) রিপাবলিকের পার্লামেণ্টকে ২বার দরিভূত করেছেন। এর মধে্য হঠাৎ একদিন জার্মানের পার্লামেণ্ট ভবনে আগুন লাগানো হয় এবং কমিউনিস্ট পার্টির ভান ডের লুবকে হাতেনাতে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই ঘটনাকেই পুজি করে ন্যাশনাল সোসালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির (এন এস ডি এ পি) ছোট ছোট মৌলবাদি বিক্ষুব্ধ দল একত্রিত হয়। হিটলারকে আগুনের ঘটনার আগেই এন এস ডি এ পি এবং জামর্ান ন্যাশনাল পিপলস পাটর্ির (ডি এন ভি পি) কেবিনেটের নেতা হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আগুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেইচস্ট্যাগ ফায়ার ডিকরি বাংলায় বলতে গেলে রেইচস্ট্যাগ আগুন আইন পাস করা হয়। ঘটনা সাপেক্ষে জনতাও আইনটি মেনে নিয়েছিল। হিটলার নিজেও ব্রউনশার্ট মিলিশিয়া বাহিনির প্রধান ছিলেন। ব্রউনশার্টের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২১ সালে। আগুনের ঘটনাকেই পুজি করে ২৮৮ টি সিট নিয়ে হিটলারের দল ক্ষমতায় আসে। এবং সংবিধানিক ভাবেই ১৯৩৩ সালের ২৩শে মার্চ ৪৪৪টি ভোট নিয়ে এনেবলিং এক্ট পাস করে। এই এক্টটিতেই জার্মানির চেন্সেলর ও প্রসিডেন্টকে সর্বাধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই এনেবল এক্টের কারনেই হিটলার নিজেকে জার্মানের সমরাস্ত্র বাহিনির প্রধান করে অনেক ব্রিগেডিয়ার ও জেনারেলকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে মৃতূ্যদণ্ড দেন। এরপর হিটলার সরকারকে ঢেলে নিজের মত করে সাজিয়ে নেন এবং জার্মানির ট্রড ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করেন। হিটলার তৎকালিন পোপের সাথে চুক্তি করেন। পোপও (ভেটিকানের ধর্মিয় নেতা) কমিউনিস্ট পার্টিকে বিলুপ্ত করতে রাজি থাকায় হিটলারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। পোপের সাথে চুক্তির কারনে হিটলার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বিদের সর্বাধিক অনুমোদোন পান এবং হিটলার সমস্ত বিরোধি দলের নেতাদের নিষিদ্ধ ঘোষনা করে তাদের পার্টিকেও বাতিল ঘোষনা করেন। এনেবল এক্ট হিটলারকে সেই সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকার দেয় যার বদৌলতে হিটলার আদালত প্রথাকে ভেঙ্গে নাজসি মৌলবাদিত্ব আদালতি তথা মিলিটারি ও একতরফা আইন চালু করেন।
এবং একনায়ক তন্ত্রের সুচনা করেন।