আমরা কোন পথে আছি?

এ আর সুমন
Published : 2 May 2017, 12:28 PM
Updated : 2 May 2017, 12:28 PM

আমাদের দেশে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরনো, পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হয়রানি করা সহ অসংখ্য প্রমাণিত অভিযোগ আছে আর সাথে আছে চিরাচরিত নিয়ম- সরকার কর্তৃক বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার। এই পুলিশ বিভাগের এত কালিমা সত্ত্বেও অন্যান্য বিশেষ ফোর্স যেমন ডিবি, সিএইডি সহ অন্যান্যরা ছিলেন নিষ্কলঙ্ক। যদিও র‌্যাব এর বিষয় ভিন্ন, যাদের বিরুদ্ধে ৭ খুনের বিষয় সহ বহু বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড জড়িত।

এখন কথা হল ডিবি নিয়ে। বছর দুয়েক আগের ঘটনা। আমার পাশের অফিসের পিয়ন সকালে অফিসের কাজে ও তার নিজের বেতনের টাকা ব্যাংক হতে উঠাতে বাইরে যায়। ফেরার পথে সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশের একটি দল তার পথ আটকায়। মতিঝিলের ফুটপাতের চায়ের দোকানের সামনে চলে অজানা কারণে জিজ্ঞাসাবাদ। সে তার পরিচয় পত্র দেখানো সত্ত্বেও ছাড় পায় না। তারপর চলতে থাকে তল্লাশি, অবশেষে তার মানিব্যাগে পাওয়া গেল কিছু বিদেশি মুদ্রা। সে শখের বশে খুব সম্ভবত ভারতীয় ও মালশিয়ান খুব ছোট দুইটা নোট সংগ্রহে রেখেছিলো। প্রচলিত আইনে এইটা নিশ্চয়ই অপরাধ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই স্থানের খুব কাছাকাছি প্রতিদিন সকাল-বিকাল ডলার-রিয়েল-পাউন্ড ডাকাডাকি থেমে নেই। যাদের বেশির ভাগই অনুমদিত মানি এক্সচেঞ্জের বাইরে লেনদেন করে।

যাইহোক, মূল ঘটনায় ফিরে আসি। তখন সেই ডিবি দল তাকে অবৈধ মুদ্রা রাখার দায়ে সবার সামনে হাতকড়া পরায়, তবে গাড়িতে উঠানোর সময় তাকে কিছু মানুষ বাধা দেয়ায় ডিবি পরিচয় দিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠিয়ে চলে যায়। পরিচিত কিছু মানুষ এসে অফিসে সংবাদ দেয় এবং অফিস থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলে দেখা যায় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ।

বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সে বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে অফিসে ফিরলে জানা গেল বাকি কথা। তাকে গাড়িতে উঠানো পরেই চোখ বেধে ফেলে এবং তার কাছে থাকে মোবাইলটি সহ ব্যাংক থেকে উঠানো তার বেতনের সাত হাজার টাকা নিয়ে নেয়। তারপর বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে আরও টাকা আদায়ের চেষ্টা চলে তবে গাড়িটি থামে না, এই চলন্ত অবস্থায় চলে। অবশেষে তারা বুঝে ফেলে তার কাছে থেকে টাকা আদায় করা সম্ভব না। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিকালে দিকে খিলগাঁও ফ্লাই ওভারের উপরের নামিয়ে দিয়ে যায়।

এবার আসি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া অসংখ্য নিউজ থেকে শুধু দুইটা ঘটনা নিয়ে।

এগুলো কিসের আলামত? আমরা কোন পথে আছি?