আদালতের এ রকম কর্মকাণ্ডকে সমালোচনা করাও মহা বিপদ। উনারা “বিব্রত” হন বিচারের শুনানী করতে কিন্তু এই বিব্রত হওয়াকে নিয়ে কথা বলতে গেলে উনারা ‘অব-মানিত’ বোধ করেন। কারন আদালত নাকি স্বার্বভৌম ! সমালোচনার উর্ধে !
লিখেছেন জনপ্রিয় ব্লগার মাহবুব সুমন তার সাম্প্রতিক ব্লগপোস্টে। আমরাবন্ধু ব্লগে প্রকাশিত এই পোস্টে সুমন আদালতের সাম্প্রতিক অবমাননা প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষিতে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন,
আদালতকে গালী দিতে চাই না। কিন্তু বিচারকদের গালী দিতে চাই। ঠিক কোন গালী দিলে আদালত অবমাননা হবে না ?
আরো স্পষ্ট করে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তার সম্প্রতিক উপলব্ধির কথা:
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিরঙ্কুশ মান্যতা আমার আছে। কিন্তু বিচারকের আসনে বসা সেই মানুষটির প্রতি সেই শ্রদ্ধাবোধটা অনেক টুকুই টলে গিয়েছে। নিম্ন আদালতে দলীয় আনুগত্যে নিয়োগ পাওয়া বিচারকের পাল যখন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে রায় বিক্রি করে তখন সেই বিচারকের প্রতি শ্রদ্ধা টলে না যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
পুরো পোস্টটি পড়তে চাইলে দেখতে পারেন এখানে।
ডাকপিয়ন বলেছেনঃ
অপেক্ষা করুন। পৃথিবীতে একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রেকর্ড করবে। যে দেশে বিচারক এবং আইনজীবীরা ক্ষমতা গ্রহণের জন্য ক্যু এর চেষ্টা করে গণধোলাই খাবে।
আলী আকবর বলেছেনঃ
সুষ্ঠু/ন্যায় বিচারের প্রধান অন্তরায়, আইনজীবীরা আর রাজনীতিক/নেতা হিসেবে পরিচয় দানকারী ব্যক্তিরা। রায় তাদের মন:পুত না হলেই, অসভ্যতা-অরাজকতা সৃষ্টি করে–হুমকি-ধামকিতে মাতলামী প্রকাশ করে—তাদের আচরণে, আমার ভয়; এই লোকগুলো, কখনও বা, মাননীয় বিচারপতি মহোদয়কে খুন করে, এই পৃথিবীতে নজির স্থাপন করে বসে কি-না। যে ব্যক্তিরা আইন রচণার সাথে জড়িত থাকে আর যারা আইনের ব্যবসা করে, পরিবার-পরিজনের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেয়; তারাই যদি, আইন-আদালতের সাথে বেয়াদবী করে—তাহলে সুষ্ঠু/ন্যায় বিচারের আশা অসম্ভব-অবান্তর। মাননীয় বিচরকগণকে সাথে নিয়ে, অসভ্যতা-অরজকতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কী-না, ভাবনার এখনই সময়। লোকগুলো যোগসাজসে, জমিজমা,নালাখালা গ্রাস করে,আ্দালতের দিকেও…….
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেনঃ
কোন ধরণের মন্তব্য করলে আদালত অবমাননা হবেনা সেটা আদালতকেই ঠিক করে দেয়া উচিত।
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
বলতে পারেন আমি আদালতের মুখাপেক্ষী সে জন্য আমি একটা স্টুপিড।