পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বারবার সময় নিলেও ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অপসোনিন কেমিক্যাল কোম্পানীর প্রতিষ্ঠিত একটি কারখানাও নগরীর জনবহুল এলাকা থেকে আজ পর্যন্ত সরানো হয়নি। কোম্পানীর বিভিন্ন কারখানা থেকে বিষাক্ত কার্বন ছড়িয়ে পরছে জনবহুল নগরীতে। নগরবাসি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও কোম্পানীর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কোম্পানীর লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। অপসোনিন কোম্পানীর কয়েকটি ফ্যাক্টরী রয়েছে এই জনবহুল নগরীর প্রান কেন্দ্র বগুড়া রোডে। এই ফ্যাক্টরী গুলো দিন রাত সমানে চলে। কারখানার মেশিনের শব্দে আশেপাশে লোকজন বসবাস করা অনেকটা কঠিন হয়ে পরেছে। কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া ও দুষিত বায়ু এলাকার পরিবেশ দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ঐ এলাকার বাড়ির মালিকেরা জানান যে জনবহুল এলাকায় কারখানাগুলো থাকায় আমাদের বাসাবাড়িতে কেউ ভাড়া থাকতে চায় না। ভাড়াটিয়ারা দুই এক মাস থাকার পরে পরিবেশ বিপর্যয় দেখে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। অনেক সময় বাহির থেকে আসা দুষিত বাতাসে শরীলে জ্বালাপোড়া হয়। চিকিৎসকরা বলেন এধরনের দুষিত বাতাসের কারনে স্থানীয় বাসিন্দাদের ফুসফুসের ক্ষতি ও এলার্জির জন্ম দেয়। এছাড়া বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। এই এলাকার শিশুদের এখন কোন রোগে আক্রান্ত না হলেও পরবর্তী সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে তারা শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ডায়বেটিক বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান ফ্যাক্টরির কেমিক্যালের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা তাদের সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার আশংকা রয়েছে। একই সাথে ব্লাড ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে ….. > বিস্তারিত
_______________
– জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় সরকারি সেবার মানোন্নয়নে নাগরিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে নাগরিক কণ্ঠ আত্মপ্রকাশ করে। বিডিনিউজটুয়েন্টিফোরডটকম ব্লগের সাথে প্রস্তাবিত চুক্তির আলোকে পর্যবেক্ষণ পর্যায়ে এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে।
– আপনার কমিউনিটির কোনো সংবাদ শেয়ার করতে চান? জানান আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।