আমরা বন্ধু ব্লগে সচল জাহিদ নামে একজন ব্লগার তুলে ধরেছেন তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির ইতিহাস। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সভায় পানি বন্টনের হিস্যা সমূহের জন্য যে তিনটি প্রস্তাব উত্থাপনের চিন্তা ভাবনা করা হয় সেগুলো তুলে ধরেন:
প্রস্তাব ১ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ২০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৮০ ভাগ পানি বাংলাদেশ ও ভারত সমভাবে ভাগ করে নেবে।
প্রস্তাব ২ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ২০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৮০ ভাগ পানি ১৯৮৩ সালে প্রস্তাবিত এডহক চুক্তি অনুযায়ী ৩৬:৩৯ অনুপাতে বাংলাদেশ ও ভারত ভাগ করে নেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পাবে ৩৮ শতাংশ আর ভারত পাবে ৪২ শতাংশ।
প্রস্তাব ৩ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ১০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৯০ ভাগ পানি ১৯৮৩ সালের এডহক চুক্তি অনুযায়ী ৩৬:৩৯ অনুপাতে বাংলাদেশ ও ভারত ভাগ করে নেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পাবে ৪৩ শতাংশ আর ভারত পাবে ৪৭ শতাংশ।
তিনি দুটি প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন, যেমন:
প্রস্তাব ১: ২০% হিস্যা নদীখাতের জন্য বরাদ্দ রেখে বাকী ৮০% পানি ভারত ও বাংলাদেশের সেচ প্রকল্পের পরিকল্পিত এলাকার ভিত্তিতে (ভারত কতৃক উত্থাপিত বাস্তবায়িত এলাকার ভিত্তিতে নয়) বন্টন করার কথা প্রস্তাব করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৭:১০ অনুপাতে বাংলাদেশের হিস্যা হবে ৩০% ও ভারতের ৫০%। নদীখাতের জন্য ছেড়ে দেয়া পানি যেহেতু মূলত বাংলাদেশে প্রবেশ করবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মোট হিস্যা দাড়াবে ৫০% আর ভারতের ৫০%।
প্রস্তাব ২: ১০% হিস্যা নদীখাতের জন্য বরাদ্দ রেখে বাকী ৯০% পানি ভারত ও বাংলাদেশের সেচ প্রকল্পের পরিকল্পিত এলাকার ভিত্তিতে (ভারত কতৃক উত্থাপিত বাস্তবায়িত এলাকার ভিত্তিতে নয়) বন্টন করার কথা প্রস্তাব করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৭:১০ অনুপাতে বাংলাদেশের হিস্যা হবে ৩৪% ও ভারতের ৫৬%। নদীখাতের জন্য ছেড়ে দেয়া পানি যেহেতু মূলত বাংলাদেশে প্রবেশ করবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মোট হিস্যা দাড়াবে ৪৪% আর ভারতের ৫৬%।
……..বিস্তারিত