তেহরান চিড়িয়াখানায় ১৪টি সিংহের হত্যায় পরিবেশ ব্লগাররা ক্রুদ্ধ ও উদ্বিগ্ন। ইরানের মিডিয়া জানাচ্ছে যে গ্ল্যান্ডার্স বলে একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রামক রোগ ধরা পড়াতে সিংহগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। গ্ল্যান্ডার্স-এর প্রাদুর্ভাব সাধারণত ঘোড়া, গাধা এবং খচ্চরদের মধ্যেই দেখা যায়। দুই সপ্তাহ আগে, সাইবেরিয়ার একটি বাঘকে সংক্রমিত মাংস খাওয়ানোর ফলে মৃত্যুবরণ করতে হয়। উল্লেখ্য, বাঘটিকে রাশিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিনিময়ের মাধ্যমে তেহরান চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়।
পশু চিকিৎসক হুম্যান তাঁর “পশুচিকিৎসকের সমস্যা” ব্লগে লিখছেন:
“আমরা আর সিংহের ডাক শুনতে পাই না… গতকাল তারা ৯টি সিংহকে মেরেছে। কারণ বলতে ওই একটাই, তাদের অসুস্থতা। ওরা সংক্রমিত গাধার মাংস খেয়েছিল। এই অসুস্থতাকে সারানো যেত হয়ত… সপ্তাহ দুই আগেই আমরা একটা রক্ত পরীক্ষা করি… আমি অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। এখন সময় সরে যাওয়ার এবং এই জায়গা ছেড়ে চলে যাবার।”
ভার্তে লিখছেন:
“সিংহকে খাঁচায় দেখা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। সিংহটি তার প্রতি এই অবমাননার কথা জানে… এটি মারা গিয়েছিল একজন সৈনিকের মতো… এর আগে এই যাচ্ছেতাই চিড়িয়াখানায় আমি আর একটি ভয়ংকর দৃশ্য দেখেছিলাম। গৃহপালিত কুকুর খাঁচার ভিতরে আদর পাবার জন্য প্রতীক্ষারত। আপনারা এই কুকুরগুলোকে শুধু একটি নরম বিছানায় ভাবতে পারেন, কিন্তু শীতল মাটিতে কখনোই নয়।”
ইরানের ব্লগার কেল্ক তাঁর তির্যক মন্তব্যে বলেছেন, মনে হয় ওই কুকুরগুলোকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে হত্যা করা হয়েছে।
ইউনাইটেডফরইরান লিখেছেন তেহরান চিড়িয়াখানার অব্যবস্থা নিয়ে। তিনি স্মরণে এনেছেন, সাইবেরিয়ার বাঘটির মৃত্যুর পর কিছু দিন যেতে না যেতেই ১৪টি সিংহকে হত্যা করা হল।
ব্লগার এবং সাংবাদিক মজগ্যান জামশিদি লিখেছেন, সাইবেরিয়ার বাঘটিকে নিয়ে আসার পিছনে কারন ছিল ইরানি কর্তৃপক্ষের একটি উদ্দেশ্য সাধন। সেই কারণে, প্রথম থেকেই ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে এরা প্রকৃত দেখাশোনা থেকে বঞ্চিত থাকে।
——————————————————————————
তেহরান চিড়িয়াখানায় ১৪টি সিংহের হত্যা
লিখেছেন Hamid Tehrani · অনুবাদ করেছেন দিবাকর সরকার
পছন্দের পোস্ট করতে আপনাকে লগইন করতে হবে।