মালয়েশিয়ায়: অনলাইন প্রচার মাধ্যমকে শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণের মাঝে আনা হচ্ছে?

সংকলক
Published : 10 April 2012, 03:39 AM
Updated : 10 April 2012, 03:39 AM

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তূন রাজাক,সম্প্রতি প্রেস ইনিস্টিটিউট পুরস্কার প্রদানের সময় এক ঘোষণায় বলেন যে, শীঘ্রই সংসদে প্রিন্টিং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন এ্যাক্ট (পিপিপিএ) –এর সংশোধনী উত্থাপন করা হবে। এছাড়াও তিনি সংবাদ, অনলাইন প্রচার মাধ্যমে উপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন, যেহেতু সরকার প্রিন্ট এবং অনলাইন প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দ্বৈত নীতি গ্রহণ করতে পারে না।

তার এই ঘোষণা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১-এ মালয়েশিয়া দিবসে প্রদান করা ভাষণের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা প্রদান করে, উক্ত ভাষণে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন ১৯৬০ ( ইন্টারনাল সিকিউরটি এ্যাক্ট বা আইএসএ), নির্বাসন আইন (১৯৫৯) এবং পিপিপিএ নামক আইনের সংস্কার, আর একই সাথে সীমাবদ্ধ আবাসন আইন ১৯৩৩ নামক সংস্কার সাধন করবেন।:

Kajian semula komprehensif ini akan melibatkan Akta Kediaman Terhad 1933 dan Akta Mesin Cetak dan Penerbitan 1984 di mana prinsip pembaharuan tahunan akan dihapuskan dan digantikan dengan pengeluaran lesen sehingga dibatalkan.

সীমাবদ্ধ আবাসন আইন ১৯৩৩ এবং প্রিন্টিং প্রেস এবং পাবলিকেশন এ্যাক্ট ১৯৪৮ (ছাপাখানা এবং প্রকাশনা)–এর জন্য এক তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হচ্ছে ( যার জন্য আর আইনের প্রয়োজন নেই), যেখানে বাৎসরিক লাইসেন্সের বিষয়টি বিলুপ্ত করা হবে এবং তার বদলে এমন লাইসেন্স প্রদান করা হবে, যা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।

তবে, এই ঘোষণা এক হতাশা তৈরী করে, সেন্টার ফর ইনডিপেন্ডন্ট জার্নালিজম যেমনটা নির্দেশ করছে, পিপিপিএর এই সংস্কার মানে এই নয় যে তা মালয়েশিয়ার প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতার পরিমাণ বাড়াচ্ছে:

যখন বিষয়টি মত প্রকাশের স্বাধীনতার তখন সরকারের সংস্কার না করার এই অবস্থান, তখন সেটি মালয়সিয়াকিনি আদালতের প্রকাশনার অনুমোদন বিষয়ক আবেদনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাতিল করার ঘটনায় তার প্রতি আদালতের যে চ্যালেঞ্জ প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন। উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবু সেমান ইউসোপ-এর পাল্টা আবেদনে বলেছেন যে অনুমোদন ছিল এক "বিশেষ সুবিধা", এবং কাউকে অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়টি সাথে মুক্ত ভাবে কথা বলার অধিকার হরণের সাথে তুলনীয় হতে পারে না। এই অবস্থানটি জনতার তথ্য অধিকারের দাবীকে অস্বীকার করে, বিশেষ করে তাদের, যাদের ইন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগ নেই এবং যারা বিকল্প কিছু পাওয়া থেকে বঞ্চিত, একটি মুক্ত প্রচার মাধ্যম অনেক বেশী আরো অনেক বেশী জটিল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত যে এখনো সরকারের পিপিপিএ–এর পরিধি আরো বিস্তৃত করে, তার মধ্যে অনলাইন অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছে আছে কিনা, বিষয়টি, অনেকবার ইন্টারনেটের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুত প্রদান করার এক বাস্তবতায় এক বৈপরিত্যের প্রদর্শন করে।