পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ : প্রতিযোগিতার নামে অসম প্রতিযোগিতা

সংকলক
Published : 25 May 2012, 02:35 PM
Updated : 25 May 2012, 02:35 PM

মে মাসের ঘটে যাওয়া দুইটি ঘটনা দিয়ে আজকে লেখা শুরু করতে চাই | প্রথম ঘটনাটি ঘটে মে মাসের ৯ তারিখে, নকল বই বিক্রী করতে রাজী না হওয়ায় বাংলাবাজারের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে পাঠ্য বই নকল চক্রের হোতারা | দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে মে মাসের ১৯ তারিখে, ঝিনাইদহে এক ট্রাক ভর্তি বিক্রয় নিষিদ্ধ পাঠ্য বই নিয়ে ধরা পরে এক পুরানো কাগজ ব্যবসায়ী | এবং তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে সন্ধান পাওয়া যায় হাজার হাজার মাধ্যমিক পাঠ্য বইয়ের | এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে| দুইটি ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা | কিন্তু তাদেরকে একই সুতায় বাধলে বেরিয়ে আসে একটি গল্প | একদিক থেকে নকল পাঠ্য পুস্তক বিক্রীর সিন্ডিকেট সচল, অন্যদিকে সরকারী অর্থায়নে মুদ্রিত বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্য পুস্তক নিয়ম অনুযায়ী বিতরণ না হয়ে তার আরেকটি বাজার সচল | তার মানে সবদিকেই অসাধু ব্যবসা | এবং অসাধু ব্যবসায় বাধা পড়লে সন্ত্রাস | এই সব দৃষ্টান্ত থেকে জনগনের মধ্যে মুদ্রন শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে যত নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয় ততটা তৈরি হয় না এর ইন্ধনদাতাদের সম্পর্কে | পাঠ্যপুস্তক বিতরণে অনিয়ম ও নকল বইয়ের বাজার তৈরির প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই ঢালাওভাবে সকল মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয় | উল্লেখ্য ২০১০ সালে জাতীয় পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের গুদামে আগুন লাগার সময়ও কিছু বিশেষ মহল দায়ী করতে থাকে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে | ঢালাও ভাবে দেশী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে, প্রতিযোগিতা তৈরির নামে বিদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যবসা করার ঘটনা আমাদের দেশে নতুন নয় | পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি | দেশী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর এই অনিয়মের দায় চাপিয়ে এবং বেশী দাম দিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলিকে |