মনে পড়ে সরকার বাড়ির আলম ভাইকে

বোরহান বিশ্বাস
Published : 23 Feb 2021, 03:44 PM
Updated : 23 Feb 2021, 03:44 PM

শাহ আলমগীর ভাইয়ের পৈত্রিক নিবাস পূর্ব গোড়ানে। ১৯৭৭ সাল থেকে তারা এই বাড়িতে থাকা শুরু করেন। বাবা আবু ইউসুফ সরকারের নামের শেষাংশের সঙ্গে মিল রেখে বাড়ির নাম রাখা হয় সরকার বাড়ি। ওই সময় এলাকাটি নামা গোড়ান নামেই বেশি পরিচিত ছিল। রাস্তাঘাটগুলো ছিল কাঁচা। আশপাশে তেমন কোনো বাড়িঘর ছিল না। এই এলাকাতেই যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন শাহ আলমগীর।

মেধাবী মানুষটিকে স্থানীয়দের কেউ কেউ ডাকতেন শাহ আলম বলে। কর্মজীবনে তিনি পরিচিত ছিলেন শাহ আলমগীর নামে। বাবা-মার কাছে আলম আর ১০ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় তারা ডাকতেন দাদা বলে। একান্নবর্তী পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন তিনি। বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন সবাইকে। তার দেখভালে এক সূতোয় বাঁধা ছিল সরকার বাড়ীর সবাই। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান হলে তা কবে, কখন হবে সেই সিদ্ধান্ত আসতো তার কাছ থেকেই। বাবা-মার নির্দেশও ছিল, আলমের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।


আলমগীর ভাইদের পাশের এলাকা খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় আমার বাস। এখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। পাশাপাশি এলাকায় হওয়ায় আর গোড়ানে বন্ধু-বান্ধব থাকায় প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। গোড়ান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পেরিয়ে সামান্য এগিয়ে গেলেই সরকার বাড়ি।

২০১৯ সালের ১ মার্চ। শাহ আলমগীর ভাইয়ের মৃত্যুর পরদিন দেখা করতে গিয়েছিলাম তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের ভাই-বোনদের সঙ্গে। এক সময়ের টিনসেড ঘরের সরকার বাড়ি এখন বহুতল ভবন হয়ে সরকার'স ড্রিম নামে পরিচিত। এ ভবনেরই তৃতীয় তলায় থাকেন তার ছোট ভাই এস এম আশরাফ। তার সঙ্গে কথায় কথায় টুকরো টুকরো স্মৃতি উঠে এসেছিল আলম ভাইকে নিয়ে।

"২০০৯ সালে মা মারা যাওয়ার পর নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে শোক সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন দাদা। আজ তিনি নিজেই টেলিভিশন, পত্রিকার শিরোনাম।"

বলতে বলতে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না আশরাফ ভাই। পাশের ঘরেই বাবা ইউসুফ সরকার থাকেন। বয়স নব্বই পেরিয়ে গেছে। শয্যাশায়ী।

"দাদা যেদিন মারা গেলেন সেদিন কেন জানি সকাল থেকেই বাবা খুব ছটফট করছিলেন। বার বার বলছিলেন, আমারে আলমের বাসায় নিয়া চল। ওর বাসাটা দেখাইয়া দে। দাদার মৃত্যুর পর থেকে বাবা অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে গেছেন", বলছিলেন আশরাফ ভাই।

মনটা একটু শক্ত করে বললেন,  "আমাদের এলাকায় দাদার বয়সী তেমন কেউ ছিলেন না। ছোটরা তাকে খুব সম্মান করতো। ঈদের দিন নামাজ পড়ার পর সবাই বাসায় এসে দাদাকে সালাম করতো। দাদা সবাইকে দুই টাকা করে সালামি দিতেন। পেশাগত কারণে এক সময় তিনি উত্তরা চলে যান। উত্তরায় থাকলেও গোড়ানে বাবা-মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে তার সব সময়ই যোগাযোগ ছিল।"

ভাই-বোন আর তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রায়ই নানা রকম অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে সরকার বাড়িতে বসতো চাঁদের হাট। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণের জন্য সবাই একমত থাকলেও সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি আসতো আলমগীর ভাইয়ের কাছ থেকে। এমনি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের প্রাথমিক তারিখ ঠিক ছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ।

আশরাফ ভাই বলছিলেন,  "নির্ধারিত ওই অনুষ্ঠানটির জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দাদার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়। দাদা জানান, তার শরীরটা বিশেষ ভালো নেই। আসতে পারবেন কি না বলতে পারছেন না। শুনেই বুকটা ধক করে উঠলো। কারণ, এর আগে দাদা কখনো এভাবে কথা বলেননি। বলেছেন, অমুক তারিখে কিংবা পরে করা যায় কি না। কখনো না বলেননি।

"সেটাই ছিল দাদার সঙ্গে আমার শেষ কথা। দাদা এলেন, ১৫ তারিখের আগেই। তবে কোনো সিদ্ধান্ত দিলেন না। এবার আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হলো তার বিষয়ে।"

কান্না ধরে রাখতে পারলেন না আশরাফ ভাই।

বললেন, "দাদা যে কী ছিলেন বলে বোঝানো যাবে না। উত্তরা থাকলেও সব সময় আমাদের খোঁজ নিতেন।"

কিছুটা দম নিয়ে বললেন, "শিশু সংগঠন চাঁদের হাটের জন্য দাদার অন্য রকম ভালোবাসা ছিল। একবার তার বাসায় গিয়ে দেখি দীপের (আমাদের ভাতিজা) ঘরের ফ্যানটি নষ্ট হয়ে আছে। ভাবীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে দাদা চলে আসলেন। ভাবী কিছুটা অভিমান করে দাদাকে বললেন, ছেলের ঘরের ফ্যান দেখার সময় নেই তোমার; চাঁদের হাটের জন্য তো তিনটা ফ্যান ঠিকই কিনে দিয়ে আসছো! এই ছিল আমার দাদা। চাঁদের হাটের জন্য এমনই ছিল তার ভালোবাসা।"

আশরাফ ভাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে যুক্ত হলেন আজগর ভাই (বয়সে তিনি আশরাফ ভাইয়ের বড়)। ওই সময় (২০১৯) পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় এজিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

ভগ্ন হৃদয়ে বললেন,  "দাদার হাত ধরেই আমার লেখালেখি শুরু। দৈনিক সংবাদে প্রথমবারের মতো আমার লেখা কবিতা প্রকাশ করেছিলেন। তখন কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝানো যাবে না। বাংলার বাণীতে কাজ করার সময় দাদা পনেরশ টাকা বেতন পেতেন। পুরো টাকাটাই মার হাতে তুলে দিতেন। কিছুদিন পর ওই টাকার চেয়ে বেশি টাকা নিয়ে যেতেন। আমরা আপত্তি তুললে মা বলতেন, আলম ওর বেতনের পুরো টাকাটা যে আমার হাতে তুলে দেয় এটাই আমার সুখ। ওই টাকায় ওর চলে না বলেই ওরে কিছু টাকা দেই।

"দাদা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তখন একটা প্যান্ট পরেই অনেক দিন ক্লাস করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় আসার পর মা প্যান্ট ধুয়ে দিতেন। ওই প্যান্ট পরে দাদা পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। বাবা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার আগে একদিন দাদাকে বললেন, কি রে আলম এতো কম টাকায় সংসার চলবো? আমি তো কিছুদিন পর অবসরে যাচ্ছি। কি সব সাংবাদিকতা করছ, টাকা-পয়সা নাই! দাদা চুপ করে রইলেন।"

"আব্বার ইচ্ছে ছিল ইন্টারমিডিয়েট পাশের পর দাদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন। উনি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। বিষয়টি অনেকদিন পর মামার মাধ্যমে আব্বা জানতে পারেন। শিশুদের চাঁদের হাট সংগঠনের সঙ্গে দাদা আমাদেরও যুক্ত করেছিলেন। আমাদের গোড়ানের অনেক শিশু-কিশোররাও সেই সংগঠনের হয়ে কাজ করতো। গোড়ান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো", বলছিলেন আজগর ভাই।

আলমগীর ভাইয়ের পরেই শাহ জালাল ভাই। বলা যায় একেবারে পিঠাপিঠি। বাড়ির পঞ্চম তলায় থাকেন। সেদিন কথা হয়েছিল তার সঙ্গেও। অনেক সময় নিয়ে ভাই হারানোর কষ্টের কথা বলেছিলেন তিনিও।

"আমাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও বাবার চাকরিস্থল ময়মনসিংহের গৌরীপুরেই বেড়ে ওঠা। আমি ছিলাম চঞ্চল প্রকৃতির। দাদা ছিলেন উল্টোটা। অনেক সময় অঘটন ঘটিয়ে দাদার ওপর চাপিয়ে দিতাম। দাদা বকা খেতেন, মারও খেতেন মাঝে-মধ্যে। কিছুই বলতেন না। ছোট বেলা থেকেই তার মেধা দেখেছি। কলেজ জীবনে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন, সংগঠন করতেন। আমাদেরকেও সঙ্গে রাখতেন। চাঁদের হাট নামের একটি শিশু সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ছিলেন। ঢাকায় আসার পরও তার ওই কাজগুলো চলতে থাকলো। ১৯৭৭ সালে ময়মনসিংহ থেকে আমরা ঢাকায় চলে আসি। দোচালা টিনের ঘর ছিল আমাদের। বাড়ির নাম ছিল সরকার বাড়ি।"

স্মৃতি রোমন্থন করে শাহ জালাল ভাই বললেন, "দাদা সব সময় নিজেকে নিরাপদে রাখতে পছন্দ করতেন। কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইতেন না। কয়েক বছর আগে যশোরে যাবেন একটি অনুষ্ঠানে। পরিবহন ধর্মঘট চলছিল। আমার কাছে একটি গাড়ি চাইলেন। আমি ভালো চালক দেখে গাড়ির ব্যবস্থা করে দিলাম। কিন্তু দাদার এক কথা আমাকেই গাড়ি চালাতে হবে। পরে আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে দাদাকে নিয়ে গেলাম।

"দাদা একটা কথা বলতেন, জীবনে টাকাই সবকিছু না। এটা দাদার সঙ্গে গিয়ে সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম। কত সম্মান ছিল তার। টাকা দিয়ে এই সম্মান, শ্রদ্ধা অর্জন করা যায় না। আমার বাবাও আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। ৮১ কি ৮২'র দিকে দাদা বিসিএস পরীক্ষা দিলেন, উত্তীর্ণও হলেন। কিন্তু চাকরিটা করলেন না। বিষয়টি জানার পর আমাদের পরিবারের সবার মন খারাপ হলো। আমি দাদাকে জিজ্ঞেস করলাম, বিসিএস দেওয়ার জন্য তোমাকে তো পরিশ্রম করতে হয়েছে। সময় গেছে, শ্রম গেছে। এখন বলছো এটা করবা না। এটা কি ঠিক? দাদা বললেন, পারি কিনা সেটা যাচাই করে দেখলাম।"

আলমগীর ভাইয়ের অনুপ্রেরণাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে সরকারি উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত আছেন বোন তাহমিনা খাতুন মিনা। ওই সময় তিনি প্রাথমিক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শাসন যে কতটা মধুর হতে পারে তা মিনা আপার সঙ্গে কথা বলে বুঝেছিলাম।

"ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর বড় আপার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গেছি আমি। দাদা আমাকে বাসায় দেখতে না পেয়ে আমার খাতায় লিখে রেখেছিলেন, 'তবে কি ধরে নেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাধ নেই?' দাদার ওই লেখা পেয়ে আমি অনেক কেঁদেছিলাম। পরে বাবা-মাকে বুঝিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আসলে দাদা আমাদের ওভাবেই শাসন করতেন। মুখে কিছু বলতেন না। আমরা কেউ কোনো অন্যায় করলে তিনি খাতায় বা ডায়েরিতে লিখে শাসন করতেন। একবার তার উত্তরার বাসায় গিয়ে দেখি ভেতরের দরজায় তার মেয়েকে উদ্দেশ করে লেখা 'আম্মু গত রাতে তোমার রুমে অনেক রাত পর্যন্ত বাতি জ্বলছিল।' আমার ভাতিজী কিন্তু ঠিকই বুঝে গেছে ওর বাবা কি বোঝাতে চেয়েছেন।''

কথা কথায় মিনা আপা বললেন,  "দাদার কাছে আমাদের ভাই-বোনদের অনেক ঋণ। দাদার হাতের লেখা খুবই সুন্দর ছিল। তিনি আমাদের সবাইকে নোট লিখে দিতেন। আমাদের অন্য কিছুর প্রয়োজন হতো না। মনে পড়ে, ময়মনসিংহের সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমার বাইরে যাওয়ার বিষয়ে মার কঠোর বিধি-নিষেধ ছিল। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে দাদা আমাকে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। দাদার কারণেই ওই সময় খেলাধুলায় জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আমি যেতে পেরেছিলাম। দাদা বেতারে আধুনিক গান করতেন। আর আমরা সবাই মুগ্ধ শ্রোতা হয়ে তা শুনতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় পড়ার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাতেও মাস্টার্স করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দাদার পরামর্শ আর শ্রমেই আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া। দাদা জহুরুল হক হলে থাকতেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার হাত ধরে আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম।"

"২০১৬ সালের দিকে প্রথমবারের মতো দাদার ক্যান্সার ধরা পড়ে। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। আমার ছেলেও ডাক্তার। দাদা তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে ওর সঙ্গেই বেশি কথা বলতেন। একদিন দাদা প্রসঙ্গে ও আমাকে বললো, আমরা হয়তো মামাকে আর বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবো না", বলতে বলতে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না  মিনা আপা।

আশরাফ ভাই, আজগর ভাই, শাহ জালাল ভাই আর মিনা আপার সঙ্গে সেদিনের স্মৃতিচারণের অংশ বিশেষ নিয়ে একটি লেখা তৈরি করেছিলাম। ছবিগুলো পেয়েছিলাম এস এম আশরাফের অ্যালবাম থেকে। শাহ আলমগীর ভাইকে নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশ হবে জেনে এক জায়গায় জমাও দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। বিশেষ দিন ছাড়া স্মৃতিকথা সাধারণত প্রকাশ হয় না।

৬২তম জন্মদিনের একদিন আগেই (২১ ফেব্রুয়ারি) গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার সিএমএইচের আইসিইউতে শয্যাশায়ী হন শাহ আলমগীর ভাই। এবার ২৮ ফেব্রুয়ারি তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আর ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল তার ৬৪তম জন্মদিন ছিল।

সাংবাদিকদের অভিভাবক ছিলেন তিনি।  একবার পিআইবিতে অনুষ্ঠিত শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় সিআরসি, সিডও ও মীনা বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলাম। প্রথমদিন অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় জানার পর্বে অন্য অতিথিদের সঙ্গে মঞ্চে বসা শাহ আলমগীর ভাই ঐতিহ্যবাহি পত্রিকা দৈনিক সংবাদে আমার সাংবাদিকতা চর্চার কথা শুনে কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ তার ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে ওই পত্রিকাতে তিনি বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন। পরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন তিনি।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে অনেকবার। স্বল্প পরিসরে কথাও হয়েছে। সর্বশেষ লেখক সম্মানীর চেকে আমার নামটি সংশোধনের জন্য তার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কিছু কথাও হয়েছিল। তখনো তার মুখে হাসি দেখেছি।