অনেকে স্পিরিটকে (রূহ) নিতান্ত লাইট (আলো) বলতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি তাদের সাথে একমত না।
বেদে বৈদিক ঋষিদের, '"যোজনম্ সহস্ত্রে দোয়ে, দোয়ে শতে, দোয়ে চঃ যোজনে।একিনম্ নিমির্ষাদ্ধেন কর্মেনঃ নমস্তুতে। অর্থাৎ ২২০২ যোজন পথ নিমিষের অর্ধেক সময়ে যিনি অতিক্রম করেন তাঁকে নমষ্কার।' এই কথা অনুসারে আলোর গতিবেগ ৩০২০০২৭২৬.০৪ মিটার /সেকেন্ড। [২]
এখন আসি স্পিরিট (রূহ)এর আলাপে। অনেকে রূহকে আত্না বলেন। পবিত্র কোর্আনের (৭০:৪) আয়াতে বলা হয়েছে:
ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তাআলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
এখন আমরা বিজ্ঞানের সহজ ফর্মুলা থেকে জানি:
দূরত্ব = বেগ x সময়
=> ৫০,০০০ আলোকবর্ষ = বেগ x ১ দিন [ পবিত্র কোর্আনের ৭০:৪ আয়াত অনুসারে]
=> ৫০,০০০ x ১ আলোকবর্ষ = বেগ x ১ দিন
=> ৫০,০০০ x ৯৪৬০৭৩০৪৭২৫৮০৮০০ মিটার = বেগ x ৮৬,৪০০ সেকেন্ড
=> বেগ = (৫০,০০০ x ৯৪৬০৭৩০৪৭২৫৮০৮০০ মিটার) / (৮৬,৪০০ সেকেন্ড)
=> বেগ = ৫৪৭৪৯৫৯৭৬৪২২৫০০০ মিটার/সেকেন্ড
যা আলোর বেগের চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশি। আলোর বেগের চেয়ে কোন বস্তু বেশি বেগে চললে তা সময়ের উল্টা দিকে পরিভ্রমন করে [৫] । যেটা এখন পর্যন্ত অবাস্তব জগত।
তাই আমার ধারণা :
স্পিরিট (রূহ), ফেরেশতা (এনজেল) অবাস্তব জগতে অবস্থান করছে। বাস্তব জগতের লাইটের (আলোর) সাথে স্পিরিট (রূহ)-এর তুলনা করা যাবে না।
—:@ —:@ —:@
তথ্যসূত্র হাইপার লিংক গুলোতে ক্লিক করলে পাবেন।