…না হয় ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে!!!

শাহানূর ইসলাম সৈকত
Published : 4 July 2012, 03:47 AM
Updated : 4 July 2012, 03:47 AM

আজকাল ব্লগের পাতা খুললেই বিভিন্ন ইস্যুতেব্লগে হৃদয় স্পর্শী লিখা দেখতে পাওয়া যায়। ব্লগের মাধ্যমে সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন, সমাজের অনাচার, সরকারের দুর্নীতি, ব্যর্থতা থেকে শুরু করে এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে ব্লগে আলোচনা হয় না। নিজে মানুক আর নাই মানুক নিজেকে মহান হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য শত চেষ্টার নজির এই ব্লগে দেখতে পাওয়া যায়। আবার অন্যের চরিত্রে কালিমা লেপন করতেও ব্লগের কোন জুড়ি নেই।

আমার দেখা অনেক ছাত্র নেতা, যারা অন্যায় আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথায় ফুলঝরি ছিটিয়ে মানুষের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। আবার তারায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরে ব্যক্তি স্বার্থে দুর্নীতি করতে সমান্যতম পিছপা হয় না । রক্ষণশীলদের কথা বাদ দিলাম এমনসব প্রগতিশীল ছাত্র নেতা দেখেছি যারা সারা রাত বিসিএস এর প্রশ্ন পত্রের খোজে তন্ন হয়ে ঘুরে তা পেয়ে সকালে পরীক্ষা দিয়েছে। আবার পরীক্ষা শেষে সেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সরকারও পিএসসি চেয়ারম্যানের পদতাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে মিটিং, মিছিল জ্বালাময়ী বক্তৃতা, ব্লগে জ্বালাময়ী লিখনের মাধ্যমে নিজেকে মহান হিসেবে প্রতিষ্টা করেছে। আমি তথা কথিত ধর্মের কান্ডারীধারী এমন ছাত্র নেতাকে চিনি, যে সারাদিন মানুষকে ধর্মের বয়ান করে আর সারা রাত ধরে নীল ছবি দর্শন, মোবাইলে মেয়েদের ডিসটার্ব আর স্বমেহনে ব্যস্ত থাকে। যে কিনা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও কেন্দ্রীর সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকের পদ পেয়ে ইসলামের পতাকা উড়ানোর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে।

আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে দেশের সুপরিচিত অনেক সুশিল সমাজের প্রতিনিধির সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে যারা সমাজ সংস্কারের ঝান্ডা উড়িয়ে বিদেশ গিয়ে মদ আর ক্যাটালগ দেখে মেয়ে বাছাই করে তাদের বুকে নিজেদের ডুবিয়ে রেখে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে। আমি অনেক মানবাধিকার নেতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, যারা মানবাধিকার রক্ষার নামে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে গাড়ি, বাড়ি আর বিলাসবহুল জীবন জাপন করে। এমনকি তাদের অফিস আর ব্যক্তিগত জীবনেও তারা নিয়মিত মানবাধিকার লংঘন করে চলে। শুধু নিজের পকেট ভরানোর জন্য গেল গেল সব গেল, দেশের মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত হল বলে আষাঢ়ে গল্প ফেদে অন্য দেশের কাছে নিয়মিত হাত পেতে চলে।

তাই, এসব ব্লগীয় চিৎকার, প্রগতিশীলতার মুখোশ, সুশিল সমাজের ভন্ডামি আর মানবাধিকারের প্রপাগন্ডায় লাথি মেরে যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিরোধ, সেখানে অবিচার সেখানে প্রতিরোধ, যেখানে অনিয়ম সেখানে প্রতিরোধ, যেখানে দুর্নীতি সেখানেই প্রতিরোধ এই নীতিতে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এতে যদি দেশের তথাকথিত আইন হাতে তুলে নিয়ে সমাজের নিকট অপরাধী হতে হয় তাই হতে হবে। তাতে না হয় দেশদ্রোহী হয়ে মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পথে পথে ঘুরতে হবে!!! না হয় সারাজীবন জেলের ভিতর পচতে হবে!!! না হয় ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে!!! ক্ষতি কি?