আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। সরকার গোপনে জামায়াতের সাথে আঁতাত করে চলেছে। তা না হলে হঠাৎ করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ধীর গতি কেন? যুক্তি তর্ক শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন মামলা ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রীম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত রায়ের অপেক্ষায় থাকছে কেন?
অবশেষে সকল আশঙ্কাকে সত্যে পরিনত করে সুপ্রীম কোর্ট আজ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে। সাথে সাথে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আসল রূপ জনগণের সামনে খোলাসা হয়েছে।
একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমি সবসময় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। কিন্তু একাত্তরে এই সব রাজাকার/ আলবদর/আলসমস এর সদস্যরা যে প্রকারের নিসংসতা চালিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডই হতে পারে একমাত্র শাস্তি।
সব কিছুর পরও দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে শাস্তি দিয়েছে তা সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করে দিয়েছে বলেই বিশ্বাস করি এবং উক্ত রায়কে শ্রদ্ধা করি।
এ রায়ের ফলে জাতি '৭১ সংঘটিত কলংকের বোঝা থেকে মুক্ত হতে পারবে কিনা জানি না, তবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাঙালি জাতির বেড়িয়ে আসার নূন্যতম আশা করছি।
যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়টি বর্তমান সরকার যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করছে সে বিষয়টি এখন আর কারো নিকট অপরিষ্কার নয়।
তাই তো মনে হয়, খুব বেশি দিন দেরি নেই, যেদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জামায়াতে আওয়ামী লীগ এ রূপান্তরিত হবে।
দারুন খেলা খেললো… অপেক্ষাই রইলাম আরো খেলা দেখার…!