সহকারি জজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এক ছাত্রীর!

শাহানূর ইসলাম সৈকত
Published : 1 June 2015, 08:03 AM
Updated : 1 June 2015, 08:03 AM

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভালবাসার নামে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগের বিষয়টি যথাযথ তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটার্নাল কোর্সে আইন বিষয়ে পড়ুয়া এক ছাত্রী গত ১০ মে ২০১৫ ইং তারিখে রাজবাড়ী জজশীপের জেলা ও দায়রা জজ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ যে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার বড় মাইজদী গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে রাজবাড়ী জজশীপের এক সহকারী জজের সাথে গত বছর সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসের দিকে ঢাকাস্থ ট্রেট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের এক শিক্ষকের মাধ্যমে অভিযোগকারী উক্ত ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ভালবাসায় রুপ নেয়। এক পর্যায়ে গত ২২/১১/২০১৪ তারিখে অভিযুক্ত সহকারী জজ অভিযোগকারী মেয়েটিকে ঢাকা থেকে তার কর্মস্থল রাজবাড়ীতে নিয়ে যায় এবং সেখানে তার আবাসস্থলে বন্দী করে রেখে ২৪/১১/২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত অভিযোগকারী মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। অভিযোগকারী মেয়েটি ঢাকা আসার জন্য অনেক বেশী কান্না করলে অভিযুক্ত সহকারী জজ তার মা অসুস্থ মর্মে ছুটি নিয়ে গত ২৫/১১/২০১৪ ইং তারিখে তাকে ঢাকা রেখে আছেন। এসময় অভিযুক্ত সহকারী জজ শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অভিযোগকারী মেয়েটিকে অনুরোধ করেন এবং অচিরেই দু'পরিবারের সাথে কথা বলে বিয়ে করবে বলে তাকে আশ্বাস প্রদান করেন।

পরবর্তীতে অভিযোগকারী মেয়েটি তাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার অনুরোধ করলে তিনি করব করব বলে গড়িমসি করতে থাকেন। এ সময় অভিযোগকারী মেয়েটি বিষয়টি তার পরিবার, নিকট বন্ধু এবং অভিযুক্ত সহকারী জজের বন্ধুদের অবগত করে যেন তারা তাকে বুঝিয়ে একটা সমাধানে আসতে পারেন। তৎপর, ১৫/০২/২০১৫ ইং তারিখে ঢাকাস্থ রাফা প্লাজায় অভিযোগকারী মেয়েটি তার বান্ধবিকে সাথে নিয়ে অভিযুক্ত সহকারী জজের সাথে দেখা করেন এবং তাকে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু সেসময় তিনি অভিযোগকারী মেয়েটির সাথে রাগারাগি করে তাকে ক্ষতিপুরন প্রদান করতে চান। অবশেষে গত ২৬/০৩/২০১৫ ইং তারিখ সময় আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটে অভিযোগকারী মেয়েটি ঢাকাস্থ সীমান্ত স্কয়ারের হেলভেডিয়া রেস্টুরেন্টে অভিযুক্ত সহকারী জজের সাথে মিলিত হন এবং আবারও তাকে দুই পরিবারে কথা বলে বিয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেসময় অভিযুক্ত সহকারী জজ অভিযোগকারী মেয়েটিকে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তাছাড়া, বিষয়টি যদি মেয়েটি অফিশিয়ালি কোথাও জানায় তাহলে তার ও তার পরিবারের সমুহ ক্ষতি হবে বলেও হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগকারী মেয়েটি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।