গত ৬ তারিখে মিরপুর-১৩ নম্বরে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা ন্যাম গার্ডেনের ৩ নম্বর ভবনের ৪০৩-বি নম্বর ফ্লাটে বসবাসরত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব আহসান হাবিব ছেলে কর্তৃক গৃহকর্মীকে ধর্ষনপূর্বক ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় এখনো কোনো সুরাহ হয়নি। হয়নি সঠিক আইন ও ধারায় নিয়মিত মামলা অথবা মূল আসামী গ্রেফতার। বরং মূল আসামীর বাবা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব আহসান হাবিব কাফরুল থানায় বসে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে চা চক্রে মিলিত হন। ধিক দেশের আইন! ধিক দেশের পুলিশ প্রশাসন!
ধর্ষণপূর্বক হত্যা ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরও স্থানীয় থানা কিভাবে অপমৃর্ত্যু মামলা রেকর্ড করে? এদেশে কি বিচার পাওয়ায়র কোনো সম্ভাবনা নেই। তাহলে কি বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদে যাবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গোচরে কি ঘটনাটি আসেনি যে তারা টু শব্দটিও করছে না। নাকি মুক্তিযোদ্ধা লেবাসে সবকিছু ঢেকে গেছে?
জাকির হোসেইন বলেছেনঃ
আকাশে যত তারা, পুলিশের তত ধারা। আর ওই ঠুটো জগন্নাৎ কমিশন তো মানসিক প্রতিবন্ধী। ধন্যবাদ আপনাকে।
শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ !
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
এ তো নামের কমিশন,কাজের বেলায় ঠন ঠন,সারা বছর চিল্লা চিল্লি আর কি!!ধন্যবাদ প্রতিবাদী পোষ্টটির জন্য৷ভাল থকুন”
শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেছেনঃ
ধন্যবাদ!
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি নিশ্চিত যে মেয়েটিকে গৃহকর্তার ছেলে ধর্ষণ করেছিল এবং ধর্ষণের পর ছাদ থেকে তাকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল। আমি বর্তমানে দেশের বাইরে। তাই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি অফিসারদের সাথে কথা বলতে পারিনি। তাই আমার এ সম্পর্কে যে জ্ঞান তা অনলাইন পত্রিকাগুলো থেকেই।
আমি বেশ কয়েকটি পত্রিকা পড়লাম, তাতে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া তো দূরের কথা একটা মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য ধারণাও গঠন করতে পারছি না যে মেয়েটির হত্যাকারি কে, কিংবা সে আত্মহত্যাই করেছে কি না।
আমার মনে হয়, পুলিশ সঠিক কাজটিই করেছে। মেয়েটির মৃতু্য সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে হয়েছে তাই তার ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হওয়াই স্বাভাবিক। বলা বাহুল্য, লাসের অভিভাবক না থাকলে পুলিশকেই বাদী হতে হয়। অবশ্য এখানে তার আত্মীয়দের কেউ বাদী হয়েছেন।
অনেকে মনে করেন, অপমৃত্যুর মামলা কোন মামলা নয়। কিন্তু এটাও একটা নিয়মিত মামলা। সন্দেহজনক পরিস্থিতি থেকে যখনই তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখবেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তখনই নিয়মিত মামলায় সেটা রূপ নিবে। কিন্তু এ বিষয়টি যেমন ভুক্তভোগীরা বোঝেন না, তেমনি বোঝেন না বুদ্ধিজীবীরাও।
বলা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে উপর থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, পোস্ট মরটেম পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যাবে। তখন ঐ আলামত থেকে বীর্জ সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে।
যদি ডাক্তারী পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিয়মিত এজাহার করা হয়, তখন মামলাটি অবশ্যই শক্ত হবে। কারণটি সহজ। এখানে মেয়েটির বাবা মার বাইরেও এই অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সুরতহালকারী অফিসার, পোস্ট মর্টেম কারী ডাক্তার এরা সবাই সাক্ষীর খাতায় চলে আসবে।
যাহোক, মেয়েটির মায়ের যে ভাষ্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে ঘটনাটি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে বলে অনুমান করা যায়। তার মতে মেয়েটি সকাল আটটার পরে বাসা থেকে বের হয়েছিল। আর তার লাশ পাওয়া যায় ১০ টার দিকে।
মেয়ের মায়ের ভাষ্য মতে গৃহকর্তার ছেলে ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যা করেছে। কিন্তু মেয়েটি মাত্র বাসায় চারদিন কাজ করেছে। গৃহকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ এনেছেন তার পূর্বাপর তিনি কিছুই বলেননি।
সব কিছু মিলে মেয়েটির হত্যাকারী যে গৃহকর্তার ছেলে এবং তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার লাশ ১০ তলা থেকে ফেলে দিয়েছে সেটা আপাতত প্রমাণিত হয় না। এমতাবস্থায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত অব্যহত রাখাই যৌক্তিক বলে মনে করি।
শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেছেনঃ
ধন্যবাদ ব্যাখ্যার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মেয়ের মা যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে ধর্ষণপূর্বক হত্যার অভিযোগ করে তখন পুলিশ কিভাবে অপমৃর্ত্যুর মামলা নথিভুক্ত করে। যেখানে প্রাথমিকভাবে মেয়েটির স্তনের নিচসহ সারা শরীরে আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ত অপমৃর্ত্যুর মামলা দায়ের না করে ধর্ষণপূর্বক হত্যা মামলা দায়ের করে তদন্ত করতে পারত। তদন্তে যদি দেখত তা অপমৃত্যু তবে ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারত…। আর সকাল ৮ টায় কাজে গিয়ে ১০ টায় লাশ পাওয়া গেলে কি এই সময়ের (২ ঘন্টা) মধ্যে ধর্ষণ করে হত্যা করা সম্ভব নয়? নাকি ৪ দিন কাজ করলে গৃহকর্তার ছেলে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে হত্যা করতে পারে না? আর পোষ্ট মর্টেম…ডিএনএ রিপোর্ট সবই ক্ষমতা আর টাকার কাছে নস্যি! আজ যদি মেয়েটি গৃহকর্মী না হয়ে ক্ষমতাবান ঘরের মেয়ে হত আর থানাকে ঠিক্মত মাল-পানি দিতে পারত তাহলে ঠিকই র্ষণপূর্বক হত্যার মামলা দায়ের হত এবং এতদিনে দু-একজন গ্রেফতারও হত!
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
যে খবরটি আগে থানায় যায় সেটি আগে রেকর্ড হয়। প্রথমে অপমৃত্যু তারপর ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ । আইন যে নানা সময় নানা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নানা রূপ নেয় সেটা স্বীকার না করে উপায় নেই। আপনি যে আশঙ্কার কথা বলছেন সেটা তো সরাসরি মার্ডার কেইসেও সম্ভব।
শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেছেনঃ
যে খবরটি আগে থানায় যায় তাই যদি আগে রেকর্ড হত তাহলেত যে আগে খবরটি দিবে তার নাম এজাহারকারীর নাম হিসেবে লিপিবদ্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু এই মামলায় এজাহারকারীর নাম হিসেবে মিক্টিমের অভিভাবককে উল্লেখ করা হয়েছে। নিশ্চয় ভিক্টিমের অভিভাবক থানাকে খবর দেয়নি যে মেয়েটির অপমৃর্ত্যু হয়েছে! যেখানে ভিক্টিমের মা সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করছে যে ভিক্টিমকে গৃহকর্তার ছেলে ধর্ষণপূর্বক হত্যা করেছে। আর থানায় অনেক কান্নাকাটি করার পরও অভিযোগটি ধর্ষণপূর্বক হত্যা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়নি।