ক্লাস ওয়ান থেকে হোস্টেল এ বড় হয়েছি । ইউনিভার্সিটি লাইফ টা শুধু বাসায় আব্বু-আম্মু র কাসে ছিলাম । তারপর
মাস্টার্স এর জন্য বিদেশে পারি দিলাম । কোনমতে শেষ করে ভাবলাম অনেক হইসে আর না । যেইদিন কোর্স শেষ হইল তার ঠিক পরের দিন বাংলাদেশ এর দৌড়।
তিন বছর চাকরি করলাম তারপর মাথায় ভূত চাপল। আবার বিদেশে পারি দিলাম। তারপর মনে হতে লাগলো জীবনের দৌড় যেন ডবল গতিতে যাছে। দেখতে দেখতে কয়েক বছর পার হয়ে গেল । আমি এখন অনেক ক্লান্ত ।
সকালে শুধু কফি খেয়ে অফিস এ দৌড়। সারাদিন কোনও রকম খাওয়া কিন্তু কফি আর সিগারেট চলসে সমানে । নিজে থেকে আম্মু কে ফোন করার ও সময় নাই । আম্মু মিস কল দিলে মনে হয় অনেক দিন কল করা হইনি । আম্মু এত করে বলল সুন কোরবানির ঈদ টা বাংলাদেশ এ কর । তাও পারলাম না , ছুটি নাই।
কবে ছুটি পাব আর কবে বাংলাদেশ এ যাব, ঐ অপেক্ষায় আম্মু দিন গুনছে।
কবে শেষ হবে আমার এই দৌড়? কবে বাঁচবো আমি ?
মাঝে মাঝে বুক ফাইটা কান্না আসে ।
সেইদিন পড়লাম দালাইলমা বলসে , মানুষ নাকি তাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করে।
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলসে, কারণ মানুষ নিজের শরীরের ক্ষতি করে টাকা কামাই করে , আর তারপর সেই টাকা খরচ করে নিজের চিকিত্সা করতে । মানুষ ভবিষ্যত নিয়ে এভ ভাবতে থাকে যে বর্তমান কে ভুলে যায়। ভাবে কখনো মরবে না , কিন্তু মরতে একদিন হয়। আর যখন মরে, তখন ভেবে দেখে আমি তো কখনো বাঁচি নাই।