'আজ বাংলার নিভৃত কোণে আমার এক কর্মী পড়ে আছে, যার জামা নাই, কাপড় নাই। তারা আমার কাছে আসে না। কিন্তু আমি যদি চর কুকরীমুকরী যাই, আমার ঔ ধরনের কর্মীকে দেখি। এদের সাথে আমার রক্তের সম্বন্ধ। আজো আমি দেখি তার পরনে ছেঁড়া লুঙ্গি। আজো আমি দেখি, সেই ছেঁড়া পায়জামা, ছেঁড়া শার্ট, পায়ে জুতা নাই। বাংলাদেশে আমার এ ধরনের লক্ষ লক্ষ কর্মী পড়ে আছে। কিন্তু কিছু কিছু লোক যখন মধু-মক্ষিকার গন্ধ পায় তখন তারা এসে আওয়ামী লীগে ভিড় জমায়। আওয়ামী লীগের নামে লুটতরাজ করে আওয়ামী লীগে থাকার তাদের অধিকার নাই।'-বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে উদ্বোধনী ভাষণ।
জাতির জনকের এ ভাষন বহু বছর পেড়িয়ে গেলেও আজও সত্য। আমরা কি দেখি আগের কথা বাদ দিলাম; ২০০১ এ জামাত বিএনপি জোট ক্ষমতায় বসার পর মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির উপর যে বর্বরোচিত হামলা হলো তখন যাদের দেখেছি জামাত বিএনপির নিরাপদ আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকেছে, ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের জরুরী অবস্থার সময় যাদের দেখেছি নিবেদিত প্রান নেতা কর্দের বিপদে ফেলার জন্য টাস্কফোর্র সাথে হাত মিলিয়েছে বিভিন্ন জেলায় তাদেরই দেখি রমরমা। ক্ষমতা বলয়ের কাছাকাছি থেকে নিরীহ দলীয় কর্দের দিকে তাকাচ্ছেইনা নিজেদের ভবিষ্যত রক্ষায় তাদের করছে বহুমূখী নির্যাতন হয়রানী। মাননীয় সভানেত্রী হাইব্রিডদের থেকে দলকে রক্ষা করুন, দলের বিপদে এদের পাবেন না। ২০১৩ সালেও দেখেছি কিভাবে জামাত বিএনপির সাথে মিলে গিয়েছিল। দলের নিরীহ কর্মীদের বাঁচান।